মাসপয়লা বেতন থেকে বঞ্চিত হলেন কয়েক লক্ষ শিক্ষক৷ আজ বৃহস্পতিবার পয়লা আগস্ট রাত পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মধ্যমমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ৷ মাস পয়লা বেতন না পেয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ সরকারি স্কুলে বেতন ঢুকে গেলেও সরকারি স্পনসর স্কুলে দেখা গিয়েছে বেতন বিপত্তি৷ কবে বেতন মিলবে, তা নিয়েও তুঙ্গে ধোঁয়াশা৷
রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের মাসপয়লা বেতন নিয়ে আগেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়৷ সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের তরফে মঞ্জুরি না আসায় আজ বেতন বিভ্রাটে পড়েন শিক্ষকদের একাংশ৷ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাস পয়লা বেতন দেওয়ার পদ্ধতি শুরু করে রাজ্য সরকার৷ ২০১৪ সাল থেকে মাসপয়লা তারিখে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়৷ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার কারণে মার্চ মাসের বেতন পেতে কয়েক দিন দেরি হয় বটে৷ কিন্তু জুলাই মাসের বেতন পেতে কেন এত দেরি? হঠাৎ কেন মাস পয়লা বেতন থেকে বঞ্চনার শিকার হতে হল শিক্ষকদের? প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ বৃহস্পতিবার রাত পেরিয়ে গেলেও বেতনের এসএমএস না পেয়ে বেশ চিন্তিত রাজ্যের কয়েক লক্ষ শিক্ষক৷ জানা গিয়েছে, বাংলার একাধিক জেলার শিক্ষকরা এই বেতন বিভ্রাটে পড়েছে৷
কেননা অ্যাকাউন্টে বেতন পড়লেই ঋণ বাবদ বা অন্যান্য খাতে ব্যাংক টাকা কাটে থাকে৷ কিন্তু এক তারিখ পেরিয়ে গেলেও বেতন না ঢোকায় কার্যত ঋণখেলাপির মতো সমস্যায় পড়েছেন চলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তবে কেন এই জটিলতা সেই নিয়ে রয়েছে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা৷ শুক্রবার যদি বেতন না ঢোকে তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের৷ শিক্ষকদের আশঙ্কা, নতুন ব্যবস্থায় অর্থদপ্তরের সঙ্গে ট্রেজারির পোর্টালের সংযোগে সমস্যা হচ্ছে৷ ফলে, অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিতে পারেনি পারছিল না৷ তবে, দ্রুত সমস্যা মিটেছে৷ শুক্রবার বেতন ঢুকে যাবে বলে খবর৷