ভারতে কর্মরত মহিলাদের সংখ্যা ভয়াবহ হারে কমছে: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: ভারতে বেকারি বৃদ্ধির হারের মারাত্মক তথ্য বেরিয়েছিল ক’দিন আগেই। এবার বেসরকারি এক সমীক্ষক সংস্থা জানাল, কর্মরত মহিলাদের সংখ্যাও ভয়াবহ হারে কমছে এদেশে। ডেলোয়িত্তে প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৮সালে দেশের বিভিন্ন কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশ৷ অথচ ২০০৫ সালে এই হার ছিল ৩৬.৭শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে কর্মরত মহিলাদের

ভারতে কর্মরত মহিলাদের সংখ্যা ভয়াবহ হারে কমছে: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: ভারতে বেকারি বৃদ্ধির হারের মারাত্মক তথ্য বেরিয়েছিল ক’দিন আগেই। এবার বেসরকারি এক সমীক্ষক সংস্থা জানাল, কর্মরত মহিলাদের সংখ্যাও ভয়াবহ হারে কমছে এদেশে।

ডেলোয়িত্তে প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৮সালে দেশের বিভিন্ন কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশ৷ অথচ ২০০৫ সালে এই হার ছিল ৩৬.৭শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে কর্মরত মহিলাদের মধ্যে ১৯.৫কোটি মহিলাই কাজ করেন হয় অসংগঠিত ক্ষেত্রে, নতুবা বিনা পারিশ্রমিকে৷

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উন্নত মানের শিক্ষার সুযোগ এবং চলতি ডিজিটাল যুগে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের পরিণতিতে কাজের জায়গা থেকে ক্রমশই হটে যাচ্ছেন মহিলারা। বর্তমান সময়ের চাহিদার উপযোগী দক্ষতা বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বহু মহিলা কর্মজগতের লড়াইয়ে ঢুকতে পারছেন না। এজন্য অবশ্য দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাকেই দায়ী করা হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে।

মহিলাদের বিশেষত তরুণীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে জানিয়ে রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উন্নত মানের শিক্ষা, পরিচালন ক্ষমতা, নেতৃত্বদান, দক্ষতা, ডিজিটাল সাক্ষরতার মতো বিষয়গুলিতে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে পৌঁছে দিতে হবে পুঁজি, প্রযুক্তি, কাঁচামাল, মেধা এবং যথোচিত যোগাযোগের মতো সহায়তাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *