কলকাতা: কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অবাহ্যত জটিলতা৷ নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের অন্দরে৷ তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ৷ মঙ্গলবার দেওয়াল বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩০৮০ শূন্যপদে নিয়োগ হবে৷ কিন্তু, কেন এত কম শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ? আদৌ বাড়বে শূন্যপদের সংখ্যা? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ ইন্টারভিউ হওয়ার ১৫ দিন আগে চূড়ান্ত শূন্যপদের তালিকা করার নিয়ম রয়েছে কমিশনের গেজেটে৷ অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে কেন এই বিজ্ঞপ্তি? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে মোট শূন্যপদের পাশেই লেখা রয়েছে, ১৩০৮০ ‘ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৯’৷ চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন? এটাই কি তাহলে কমিশনের চূড়ান্ত শূন্যপদের তালিকা? কিন্তু, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে কীভাবে এই শূন্যপদের সংখ্যা স্থির করল কমিশন? এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷ কেননা, প্রথম থেকে ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ কিন্তু, সেই দাবি তো পূরণ হলই না, উলটে কি কমানো হল শূন্যপদের সংখ্যা? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ নয়া এই বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই বলছেন, ‘‘সিভিক টিচারদের সুযোগ দিয়েই কি কমল উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের সংখ্যা?’’
উচ্চ প্রাথমিকে জট কাটিয়ে নিয়োগের গতি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান৷ সাংবাদিক বৈঠক করে SSC-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩০৮০ জন নিয়োগ হবে জানুয়ারি শেষ অথবা ফেব্রুয়ারি প্রথমে৷’’ এই প্রক্রিয়া শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে৷ কিন্তু, কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী শূন্যপদের সংখ্যা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ অবিলম্বে শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করা হলে ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা অচল করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
কমিশনের ঘোষণার পরই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ঘুরছে নানান প্রশ্ন৷ কেননা, উচ্চ প্রাথমিকে কমপক্ষে ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবি তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, এই মুহূর্তে কমিশন ১৩০৮০ জনের নিয়োগের কথা ভাবছে৷ ফলে, এত কম সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা হতেই চাকরিপ্রার্থী মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷
উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪০৮৮টি শূন্যপদ ছিল৷ সেই শূন্যপদ বেড়ে ১৮ হাজার হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ সঙ্গে আরও সাত হাজার শূন্যপদ যুক্ত হয়ে কমপক্ষে ২৫ হাজার আসানে নিয়োগ হবে বলে আশা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, কমিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৩০৮০ জনের নিয়োগের কথা ঘোষণা হতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে৷ কেননা, এর আগেও একাধিকবার উচ্চ প্রাথমিকে ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চড়িয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, বাস্তবে সেই দাবি আদৌ মেনে নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ভোটের আগে নিয়োগ শেষ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷