কলকাতা: রাজ্য সরকারি একাধিক দফতরেরে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে নতুন করে আরও একপ্রস্থ জটিলতা তৈরি হল। সরকারি নিয়ম মেনে এতদিন প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যেই বেতন বৃদ্ধি হত। কিন্তু নতুন নিয়মের আওতায় ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অনেকেরই বছরে দুবার বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। তাই অর্থ দপ্তরের অধীনস্থ ট্রেজারি থেকে পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন বছর থেকে সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের শুধু মাত্র নতুন নিয়মেই বেতন বৃদ্ধি হবে।
গতবছর রাজ্য বাজেটএতদিন প্রতি বছর জুলাই মাসে স্থায়ী কর্মীদের মতো চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হয়। কর্মজীবনের ছমাস উত্তীর্ণ করলে তবেই তাদের ক্ষেত্রে জুলাই মাসের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে। কিন্তু গত গত ৯ জানুয়ারি ট্রেজারির জয়েন্ট ডিরেক্টরের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী যে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে, তাঁরা জুলাই মাসে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন না। ফলে এই কর্মীদের বেতন কিছুটা হলেও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ট্রেজারি থেকে এই চিঠি পাঠানোর আগেই যাদের অতীতের নির্দেশিকা অনুসারে যাদে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে তাদের নতুন নিয়মের আওতায় আর বেতন বৃদ্ধি হবে না। এমনকি এই খাতে যে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটাও এবার কেটে নেওয়া হতে পারে। তবে জানুয়ারি মাসের বেতনের বিল তৈরির প্রক্রিয়া এখন চলছে। তাই সেখানে বেতন যেন কাটা না যায় সে বিষয়ে অর্থ দপ্তরের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কমর্চারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ-ডি কর্মীদের বেতন ছিল ৬৬০০ টাকা। এরপর ২০১৩ সালের মে মাসে বেতন বেড়ে হয় ৭০০০ টাকা। ওই সময় গ্রুপ-সি চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৮৫০০ টাকা। ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন আরও বেড়ে হয় ১০ হাজার টাকা। এরপর গত বছর রাজ্য বাজেটে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি’র চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন আরও দু’হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন হয় যথাক্রমে ১২ হাজার এবং ১৪ হাজার টাকা।