নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে ৭.২ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-র রিপোর্ট এমনটাই দাবি করছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির প্রধান মহেশ ব্যাস জানান, সংস্থার সমীক্ষা চলাকালীন দেখা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যায় পতন হয়েছে, একই ভাবে বেকারত্বের হার বেড়েছে।
ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন (এনএসএসও)-র শেষ সমীক্ষায় উঠে এসেছিল ২০১৭-১৮ সালেই ছিল গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারির হার। সেই সময় সংস্থার সমীক্ষায় ধরা পড়েছিল দেশে কাজ কমে যাওয়ার চেহারা। সেদিনের সমীক্ষা অনুযায়ী, বেকারির হার সবচেয়ে বেশি গত ৪৫ বছরের মধ্যে ২০১৭-১৮ সালে। শতাংশের বিচারে ৬.১ শতাংশ। সেদিনের এনএসএসও-র সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গিয়েছিল ১৯৭৩ পর সবচেয়ে বেশি বেকারির হার দেখা দিয়েছে ২০১৭-১৮সালে।
বেকারির হার ২০১১-১২ সালে ছিল ২.২ শতাংশ। গ্রামে ৫.৩ শতাংশ আর শহরে বেকারত্বের পরিমাণ ছিল ৭.৮ শতাংশ। গত কয়েক বছরে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বলেছিল সেই সমীক্ষা। বছরের দু’কোটি বেকারের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদী সরকারের আমলেই দেশে বেকারির হার সবচেয়ে বেশি। সেদিনের সেই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়াটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে চূড়ান্ত করার পরও নির্বাচনের মুখে তা প্রকাশ করতে দেয়নি নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
২০১৬ সালে নোটবন্দির পর ও ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর অনেক ছোট ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সেদিন কেন্দ্রের মনোভাবে সরাসরি ক্ষোভ জানিয়ে সমীক্ষা পরীক্ষক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন। ২০১৪-র নির্বাচনে বছরে ২ কোটি নতুন কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। বাস্তবে অর্থনীতিতে কাজ কমতে থাকায় ব্যাপক ক্ষোভের মুখে সরকার। নোট বাতিলের ফলে কাজ হারানোর পরিস্থিতি ফের প্রমাণ করেছে এই সমীক্ষা।