কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নবান্নের, তুঙ্গে প্রস্তুতি

কলকাতা: দেশ ও রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা৷ সেই সঙ্গে রয়েছে কাজ হারানোর আশঙ্কা৷ বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উপায়ে কর্মসংস্থানের হার বাড়ানোর জন্য ১৫টি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব রাজিব সিংহ৷ বৈঠকে প্রতিটি দপ্তরের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর৷ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ সালে৷

কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নবান্নের, তুঙ্গে প্রস্তুতি

কলকাতা: দেশ ও রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা৷ সেই সঙ্গে রয়েছে কাজ হারানোর আশঙ্কা৷ বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উপায়ে কর্মসংস্থানের হার বাড়ানোর জন্য ১৫টি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব রাজিব সিংহ৷ বৈঠকে প্রতিটি দপ্তরের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর৷

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ সালে৷ প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, গোটা দেশেই কর্মসংস্থানের গতি যখন ধাক্কা খাচ্ছে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটে অনেক আগেই এই প্রশ্নে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাইছেন৷ ফলে, আগে থেকেই কর্মসংস্থানের হার বাড়ানোর নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে৷ আর এই মর্মে আগামী আর্থিক বছরের জন্য বাজেট তৈরির জন্য সমস্ত দপ্তরকে বাজেট প্রস্তাব আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলেছে অর্থ দপ্তর৷

রাজ্যে ৫২টি দপ্তর রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় ও রাজভবনের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ হয়ে থাকে৷ প্রতিটি দপ্তর থেকে বাজেট বরাদ্দ আসার পর অর্থ দপ্তর কাজ শুরু করে থাকে৷ এখন অর্থ দপ্তরের বাজেট তৈরি হয় অনলাইনে৷ জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাজেট তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছে অর্থ দপ্তর৷ যাতে যে কোনও দিন বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক হলেও অফিসারদের কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়৷ তবে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেট বক্তৃতা ও নতুন প্রস্তাব ঠিক হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মতো৷ গত ৩১ জানুয়ারি বাজেট পেশ করা হয়৷ এবারও সেই দিনক্ষণ মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অর্থ দপ্তর৷

মুখ্য সচিব এই বিষয়ে কৃষি, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ, অর্থ, মৎস্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্বাস্থ্য, তথ্য সংস্কৃতি, ছোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, সংখ্যালঘু, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পরিবহন ও পর্যটন নিয়ে বৈঠক করেন৷ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই দপ্তরগুলির সঙ্গে আরও কয়েক দফায় বৈঠক করবেন তিনি৷ বৈঠক হবে প্রতিটি দপ্তরকে নিয়ে৷ কীভাবে ও কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যেতে পারে, তার একটি রূপরেখা তৈরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত কোন দপ্তরে কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে, কত শূন্যপদ রয়েছে, তার একটি খতিয়ান এদিন দিয়েছেন মুখ্যসচিব প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন বলে খবর৷ কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে আগামী বাজেট হতে চলেছে বলে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + twenty =