নয়াদিল্লি: কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। যদিও উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সেই রিপোর্ট পেশের পরেও ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তা নিয়ে লিখিত জবাবে কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
দীর্ঘদিন ধরেই ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)। এই মুহূর্তে ইফিএফের আওতাধীন এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) মোট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬৩ লক্ষ। অর্থাৎ ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার টাকা হলে লক্ষাধিক ইপিএফ পেনশন গ্রাহক উপকৃত হবেন।
১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস) অনুসারে এর আওতাভুক্তরা প্রতি মাসে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা পেনশন পান। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, অটল পেনশন যোজনা (এপিওয়াই) অনুসারে একজন পেনশনপ্রাপক মাসে ন্যূনতম ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার, ৪ হাজার, অথবা ৫ হাজার টাকা পেনশন পেতে পারেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাসের ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ কত হবে, তা নির্ভর করবে তিনি কোন পেনশন প্রকল্প বাছাই করেছেন তার উপর। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আমৃত্যু তিনি তা পাবেন। তবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) আওতায় যেসব গ্রাহক রয়েছেন, তাঁদের ন্যূনতম পেনশনের ক্ষেত্রে কোনওরকম ঊর্ধ্বসীমা নেই।