কলকাতা: পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট দায়িত্বের পরিবর্তে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন? রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট৷ একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পাশ্বশিক্ষকরা যদি পড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে পার্শ্বশিক্ষকদের যে মূল কাজ তা করবে কে?
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের স্কুল শিক্ষক রাজীব সাহার দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে স্কুল শিক্ষা সচিবের কাছে তা ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন বলে আদালত সূত্রে খবর৷ ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময় পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয় মূলত স্কুলছুট রোধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে স্কুলমুখী করার বিষয়ে৷ কিন্তু রাজ্যের পালাবদলের পর দেখা যায়, পার্শ্বশিক্ষকদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মিত স্কুলে ক্লাস নেওয়া৷ অর্থাৎ তাঁদের নিয়োগের শর্ত পাল্টে দেওয়া হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷
মামলাকারীর অভিযোগ, স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই৷ ফলে পার্শ্বশিক্ষকদের দিয়ে পড়ানোর কাজ চলছে৷ যা নিয়মবিরুদ্ধ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করার ক্ষেত্রে শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, এর ব্যাখ্যা দিতে হবে সচিবকে৷ তাঁকে নোটিশ জারি করতে হবে এই সংক্রান্ত বিষয়ে৷