কলকাতা: দিতে হবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা৷ আর তা না হলে ভোটের কাজ থেকে সরে আসার দাবি কমিশনে গিয়ে জানিয়ে আসলেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ আজ, নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে ভোটকর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও পোস্টাল ব্যালটের ভোট বুথ অনুযায়ী গণনা করার পরিবর্তে লোকসভা বা বিধানসভা ভিত্তিক গণনার দাবি জানানো হয়৷ দীর্ঘ বৈঠকে বেশ কিছু দাবি পূরণ করার কথা কমিশনের তরফে জানানো হলেও এখনও অধরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি৷ (দেখুন ভিডিও)
এদিনের এই বৈঠকে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি মেনে নেওয়া হলেও লোকসভা ভিত্তিক পোস্টাল ব্যালট গণনার দাবি খারিজ করে কমিশন৷ এদিন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি লোকসভা নির্বাচনে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা দাবিতে কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ ঐক্যমঞ্চের তরফে দেওয়া হয় ডেপুটেশন৷
গত ৩০ জানুয়ারি কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অ্যাডিশনাল ইলেক্টোরাল অফিসার সঞ্জয় বসু সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক প্রতিনিধি দল৷ সেখানে সংগঠনের তরফে দাবিপত্র পেশ করা হয়৷ কিছু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হওয়ায় সুনিশ্চিত ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি সঞ্জয়বাবু। কিন্তু, নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলেও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়৷ ফলে, আজ কলকাতার নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ফের ডেপুটেশনের কর্মসূচি শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী ও ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবি জানিয়ে এসেছি৷ কমিশনার মনে দিয়ে শুনেছেন আমাদের কথা৷ যানবাহনের দুরবস্থার কথা তুললে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ট্রাক বা লরির ব্যবস্থা থাকবে না। এবার তাঁরা বাস, মিনিবাস বা চার চাকার যানবাহনের ব্যবস্থা রাখবেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ আমরা দেখতে পারিনি৷ যদি আমাদের নিরাপত্তার দাবি না মেটে আমরা ভোটের কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হব৷ প্রয়োজনে আমরা বিক্ষোভ দেখাবো৷’’