আজ বিকেল: সামনেই নির্বাচন৷ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি চালু নিয়েও কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শুক্রবার মহাজাতি সদনে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের একটি অনুষ্ঠানে আশাব্যঞ্জক কথা শোনাতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী৷
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলাম। তারা আগে রিপোর্ট দিক। আইন তো আমরা আগেই করে দিয়েছি। আচরণবিধি না চালু হোক, এটা কেউ চাইতে পারেন না৷ আবার চালু আচরণবিধিও কি সবক্ষেত্রে মানা হচ্ছে?’’
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু, আচরণবিধি নিয়ে হাঠাৎ কেন এই মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর৷ এর পিছনে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু অস্বস্তি কাজ করছে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের৷ শিক্ষকদের একাংশের দাবি, এমনিতে বকেয়া ডিএ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শিক্ষক মহলে৷ তার উপর রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিদ্রোহ৷ যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মাথা ব্যথা বাড়িয়েছে রাজ্যের৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কড়া ব্যবস্থা নিলে ‘হিতে বিপরীত’ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে৷ আর সেই কারণেই শিক্ষামন্ত্রীর মননীয় মনোভাব বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ৷
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
গত বছর নভেম্বর মাসে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নয়া আচরণবিধির খসড়া প্রস্তাবে বিতর্কের ঝড় ওঠে শিক্ষক মহলে৷ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শাসক বিরোধী শিক্ষক ও অশিক্ষক সংগঠন গুলি৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের খসড়া প্রস্তাবে বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হলেও কয়েক প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ পেশাগত কোনও সমস্যা নিয়ে সরকার বা সরকারি সংস্থা এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা সরাসরি মামলায় যেতে পারবেন না৷ আচরণবিধিতে তা স্পষ্ট করে লিখে দেওয়া হয়েছে৷ শুধু শিক্ষকরাই নন, শিক্ষাকর্মীরাও এবার থেকে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না৷ শিক্ষকদের নিয়োগ, শাস্তিপ্রদান প্রভৃতি বিষয়গুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আগেই বিল পাশ হয়েছিল৷ সেগুলিও আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে শিক্ষকদের গ্র্যাচুইটি এবং পেনশনের অর্থ কেটে নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে পর্ষদের হাতে৷ যদি প্রাণহানির আশঙ্কা হয় বা স্বাধীনতা খর্ব করার ঘটনা ঘটে, তাহলে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে৷
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
গতবছরের শেষের দিকে রাজ্য সরকার স্কুলে ধূমপান বা মাদক ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে৷ শিক্ষকদের ধূমপানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আচরণবিধির একেবারে প্রথম দিকেই রয়েছে৷ বিধি অনুযায়ী, স্কুল চত্বরে তো বটেই, এমনকী কোনও প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করতে পারবেন না শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা৷ পাশাপাশি মদ্যপান বা জুয়ার উপরও স্বাভাবিক কারণেই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে৷ শিক্ষকদের প্রবেশনারি পিরিয়ড এক বছর থেকে বাড়িয়ে দু’বছর করার বিষয়টি আচরণবিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এছাড়াও এবার থেকে বাধ্যতামূলক হচ্ছে মেডিক্যাল ফিটনেস পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন৷ সেগুলি সন্তোষজনক না হলে চাকরি চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের৷ পর্ষদ কোনও শিক্ষককে যে নিয়োগপত্র দেবে তাতে শর্ত হিসাবে থাকবে, ওই দু’টি বিষয়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গ৷ নতুন আচরণবিধিতে প্রধান শিক্ষককেও প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর অনুমোদন পেলেই শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে৷ আবার সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনে পৃথক স্কেল না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের অনেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷