শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় সুখবর শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী, মমতার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের জট কাটাতে এবার বড়সড় পদক্ষপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ গরমের ছুটির পর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস পার্থর৷ একই সঙ্গে চাকরির দাবিতে অনশনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য খুব দ্রুত বড়সড় ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী৷ এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, চাকরির দাবিতে অনশনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের খুব দ্রুত ডাকা

শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় সুখবর শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী, মমতার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের জট কাটাতে এবার বড়সড় পদক্ষপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ গরমের ছুটির পর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস পার্থর৷ একই সঙ্গে চাকরির দাবিতে অনশনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য খুব দ্রুত বড়সড় ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী৷

এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, চাকরির দাবিতে অনশনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের খুব দ্রুত ডাকা হবে৷ তাঁদের মধ্যে যাঁরা যোগ্য, তাঁরা অবশ্যই চাকরি পাবেন বলেও জানান তিনি৷ যদিও এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের একমাসের অনশন আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘‘সমস্যা মেটানোর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছি৷ সেই কমিটিতে আছেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ অনশনকারীদের অভিযোগ লিখিত ভাবে দিতে বলেছি৷ নবগঠিত কমিটি সেই সব অভিযোগ পরীক্ষা করবে৷ অভিযোগ সত্য হলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ১৫ দিনের মধ্যে৷’’ শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, এসএসসির শূন্য পদ আপডেট বা হালতামামি হচ্ছে না বলে অনশনকারীরা যে-অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়৷ এসএসসি-র গেজেটে পরিষ্কার লেখা আছে, নিয়োগ পরীক্ষার ফল যে-দিন বেরোবে, তার ১৫ দিন আগে পর্যন্ত যত শূন্য পদ থাকবে৷ সেটাই হল আপডেটেড খালি পদ। সেই নিয়মেই এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে৷ ওয়েটিং লিস্ট মানেই প্যানেল, এটা ভুল ধারণা৷ ওয়েটিং লিস্টের কোনও আইনি বৈধতা নেই৷

এর সেই অবস্থান কিছুটা বদলে অনশনকারীদের বিষয়টি নিয়ে বসা হবে বলে আশ্বাস মন্ত্রীর৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অনশন মঞ্চে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন৷ এবার সেই প্রতিশ্রুতি পালনে পদক্ষেপ করতে চলছে শিক্ষা দপ্তর৷ সূত্রের খবর, ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধীরে ধীরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে মসৃণ রাখতে চাইছে সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *