কলকাতা: অপশন ফর্ম নিয়ে জটিলতা পর এবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অনুমোদন অনুযায়ী বর্ধিত বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সক্রিয়তা দেখাল শিক্ষা দফতরের ডিআই অফিস৷ বর্ধিত বেতনের জন্য শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে নয়া নির্দেশ৷
রোপা ২০১৯ মোতাবেক সকল শিক্ষকদের চলতি মাসের বেতন স্লিপ স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শিক্ষা আধিকারিক৷ এই বেতন বিল জমা পড়লে শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন কত হবে তা ডিপিএসসি অফিস নির্দিষ্ট করবে৷ শুধু তাই নয়, ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষকের বেতন বিল জমা নেওয়া হলেও ইতিমধ্যে যেসব শিক্ষক ওই দফতরের ওয়েসাইটে নিজেদের বেতন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করেছেন, তাঁদের বেতন বিল নির্দিষ্ট সময় পরে ফেরৎ দিয়ে দেওয়া হবে৷ জানানো হয়েছে, শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে রাজ্যের শিক্ষকরা অতি দ্রুত বর্ধিত হারে বেতন পেতে পারেন৷
অন্যদিকে, চলতি মাসের ৮ তারিখে শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়, শিক্ষা দফতরের অনলাইন নিবন্ধীকরণ ওয়েব পোর্টালে শিক্ষকদের বেতন হিসেবের আপলোড করতে হবে৷ কিন্তু বিগত কয়েক দিন যাবত নেটওয়ার্কের সমস্যা ও পোর্টাল মন্থর গতির জন্য এই আপলোড প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে রয়েছে৷ আর তার জেরে বর্ধিত বেতন পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা৷
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে না পারলে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে৷ এই সমস্যার কথা জানিয়ে এদিন মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির কর্মকর্তা অনিমেষ হালদার জানালেন, তাঁদের বেতন হয় অনলাইনে৷ তাই বেতন সংক্রান্ত নথির অনলাইন নিবন্ধকরণের বিষয়ে রাজ্য সরকার তাঁদের আগে থেকে হাতে কলমে শিখে নেওয়ার সুযোগ দিলে তাঁরা উপকৃত হতেন৷ কর্মচারীদের এই অসন্তোষে পর ডিআই অফিসের নয়া নির্দেশ ঘিরে বেশ কিছুটা চিন্তামুক্ত শিক্ষকদের একাংশ৷