শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি শিক্ষা দপ্তরের

কলকাতা: শিক্ষকদের বিদ্রোহ রুখতে বড় ঘোষণা রাজ্যের৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বড়সড় স্বস্তি পেলেন প্রশিক্ষণহিনী শিক্ষকরা৷ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে ইনক্রিমেন্ট পেতে চলেছেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক৷ মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক ইনক্রিমেন্টের আওতায় পড়বেন৷ এতদিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ইনক্রিমেন্টের আওতায়

শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি শিক্ষা দপ্তরের

কলকাতা: শিক্ষকদের বিদ্রোহ রুখতে বড় ঘোষণা রাজ্যের৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বড়সড় স্বস্তি পেলেন প্রশিক্ষণহিনী শিক্ষকরা৷ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে ইনক্রিমেন্ট পেতে চলেছেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক৷

মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক ইনক্রিমেন্টের আওতায় পড়বেন৷ এতদিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ইনক্রিমেন্টের আওতায় পড়তেন না৷ আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে ২০০২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিএড না করেও নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ইনক্রিমেন্ট পাবেন বলে জানানো হয়েছে৷ এই ঘোষণার জেরে উপকৃত হবেন রাজ্যের বহু শিক্ষক৷ ফলে, বকেয়া ইনক্রিমেন্টও পেতে পারেন তাঁরা৷ তবে, এই নির্দেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কার্যকর হবে৷

শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি শিক্ষা দপ্তরেরএই বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই বিএড জনিত কারণে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার তীব্র বিরোধিতায় আন্দোলন করে আসছি আমরা। প্রত্যেক শিক্ষকই বি এড করতে চান। কিন্তু যে সরকার সমস্ত শিক্ষকদের বিএড করার ব্যবস্থা করতে পারেনি সেই সরকার আবার বিএড না করার জন্য ইনক্রিমেন্ট স্টপ করে, এটা দ্বিচারিতার সামিল। তবে অবশেষে এই ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার ঘোষণাকে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি পক্ষ থেকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সাথে সাথে প্রতিশ্রুতি মত স্টপ ইনক্রিমেন্টের সমস্ত এরিয়ার অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা এই বিষয়টা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আগামীকালের বিক্ষোভ ডেপুটেশনে ও আগে থেকে আমাদের এই দাবিটা আছে৷’’

শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘বহুদিন থেকে এই দাবি করা হয়েছিল। তা বাস্তবায়িত হওয়ায় যেসব শিক্ষকরা অন্যায় ভাবে আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন তাঁরা উপকৃত হবেন। শিক্ষকদের এই দাবি মেনে নেওয়ায় রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। শুধু অর্ডার নয়, দ্রুত যাতে তাঁরা এই আর্থিক সুবিধা পেতে পারে তার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *