বহরমপুর: টিজিটি পে স্কেলের দাবিতে এবার শিক্ষক বিদ্রোহের আগুন ছড়াল মুর্শিদাবাদে৷ বহরমপুরের গোরাবাজার অাইসিঅাই স্কুলে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের মুর্শিদাবাদ জেলা শাখার ডাকা সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষকদের৷ অবিলম্বে ন্যায্য পাওয়না টিজিটি পে স্কেল না দিলে রাজ্যকে চূড়ান্ত বিপাকে ফেরার সমস্ত রূপরেখাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর৷
রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি পে স্কেলের দাবিতে দীর্ঘদিন রাজ্যে অান্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই সংগঠন। ইতিমধ্যে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য টিজিটি পে স্কেলের পক্ষে গত ২২ জুলাই রায় ঘোষণা করেছেন৷ এই রায়কে কার্যকর করার জন্য অাগামী ১৯ অাগস্ট কলকাতা চলো ডাক দিয়েছে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের এই সংগঠন৷
এই সমাবেশের রূপরেখা তৈরিতেই জেলায় জেলায় চলছে সভা৷ বহরমপুরের গোরাবাজার সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা সমবেত হয়েছিলেন৷ উপস্থিত ছিলেন বিজিটিএর রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব নীলাদ্রি শেখর সমাদ্দার,সাবির চাঁদ,সুদীপ সাহা,সাবির অালি,,হাসানুজ্জামান,রাজীব হোসেন,অরিজিৎ মণ্ডল ,শুভাশীস সাহা প্রমুখ৷ সভাপতিত্ব করেন অাইসিঅাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড.জয়ন্ত দত্ত৷
শিক্ষক তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখক সাবির চাঁদ জানালেন, “রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরি শিক্ষকদের কেন্দ্রের ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী রাজ্যের রোপা ২০০৯ (৫ম রাজ্য পে কমিশন) এ পে স্কেল হওয়া উচিত ছিল পে ব্যান্ড-৪ ও গ্রেড পে ৪৬০০টাকা৷ কিন্তু এটা না করে গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরির শিক্ষকদের নাম দেওয়া হয়েছে পাস ক্যাটেগরি (টিজিটি-র পরিবর্তে) ও পে স্কেল করা হয়েছে পে ব্যান্ড-৩,গ্রেড পে-৪১০০ টাকা। এই বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অান্দোলন উদ্দেশ্যে জুনিয়র হাই, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন(বিজিটিএ)। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক মামলায় অামরা জিতেছি। অাদালতের সেই সমস্ত রায়কে দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে অাগামী ১৯ অাগস্ট কলকাতায় মহাসমাবেশ ও মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। টিজিটি পে স্কেলের জিও না বেরনো পর্যন্ত অামাদের অান্দোলন চলবে৷’’