কলকাতা: লাগাম ছাড়া বঞ্চনা৷ স্থায়ীকরণ ও সমকাজে সম বেতনের দাবিতে এবার সোচ্চার হলেন বিভিন্ন জমি রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর৷ রাজ্য সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়েছেন এই কর্মীরা৷ দীর্ঘ বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রেজিস্ট্রি অফিস কন্ট্রাক্টচুয়াল এমপ্লয়িজ৷
কর্মীদের দাবি, ৬০ বছর পর্যন্ত কর্ম নিশ্চিত করতে হবে৷ বেতন বৃদ্ধি করতে হবে তাদের৷ সংগঠনের আরও দাবি, অন্যান্য দপ্তরের কর্মীদের বেতন বাড়লেও এই কর্মীরা বঞ্চিত৷ মাসে মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতনে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব৷ অবিলম্বে কর্মীদের পিএফ ও ইএসআইয়ের সুবিধা দিতে হবে কর্মীদের৷ এছাড়া অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি ও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে৷
বিভিন্ন জমি রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত প্রায় ৬৮৪ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর অস্থায়ীভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত হয়েছেন৷ ২০০৬ সাল থেকে তাঁরা অর্থ দপ্তরের অধীনে জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা দিলেও সরকারি বিধি অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না বলে সংগঠনের অভিযোগ৷ সংগঠনের দাবি, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বেতন দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের৷ এই নিয়ে বহুবার দপ্তরে জানানো সত্ত্বেও শুধুমাত্র আশ্বাস মিলেছে৷ বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ কর্মীরা ৬৭০২ টাকা বেতন দেওয়ার হলেও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বিধানসভা বাম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, এই কর্মীরা বেতন পান ১১ হাজার টাকা৷ বেতন বাড়ানোর দাবি তুললেও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, ওই এজেন্সি থেকে বেতন বুঝে নিতে৷
সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের বক্তব্য, সরকার এই কর্মীদের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না৷ এই কর্মীদের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে৷ দু’টি সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে ইতিমধ্যেই পুজোর বোনাস বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে৷ তবে এই আশ্বাস বাস্তবে রূপায়িত করতে হবে৷