মামলার গেরোয় ফের জটিল ৪০ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ!

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি মিললেও ফের মামলার গেরোয় বাংলার ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ৷ টেটের প্রশ্ন ফাঁস মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য জয় পেলেও সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সন্তুষ্ট নন মামলাকারীরা৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন মামলাকারী৷ দিন কয়েকের মধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হতে চলেছেন টেট প্রশ্ন ফাঁসের মামলা৷ কিন্তু, হঠাৎ

মামলার গেরোয় ফের জটিল ৪০ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ!

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি মিললেও ফের মামলার গেরোয় বাংলার ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ৷ টেটের প্রশ্ন ফাঁস মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য জয় পেলেও সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সন্তুষ্ট নন মামলাকারীরা৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন মামলাকারী৷ দিন কয়েকের মধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হতে চলেছেন টেট প্রশ্ন ফাঁসের মামলা৷ কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এত সমস্যা?

জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য জারি টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বিজ্ঞপ্তি৷  ২০১৪ সালে ১১ অক্টোবর পরীক্ষা দিতে বসেন প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর৷ পরীক্ষা শুরুর সময় ছিল দুপুর দুটো৷ কিন্তু, পর্ষদের তরফে এক ঘণ্টা আগেই পার্থীদের হলে ঢুকতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ গড়িয়াহাট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ৷  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি নির্দেশে প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্ত ও পরীক্ষা বাতিল মামলা রুজু হয়৷

পরীক্ষা বাতিলের যুক্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া ৮ পাতার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে প্রশ্নপত্রের৷ পরীক্ষার স্বার্থে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা৷ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে নিয়োগের আর্জিও জানানো হয়৷ আদালত পুলিশের দাবি ছিল, সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের প্রভাব পরীক্ষার মধ্যে পড়েনি৷ কারণ অনেক আগেই পরীক্ষার্থীদের হলে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হয় মামলার শুনানি৷ তার সাড়ে ১০ মাস পর রায় ঘোষণায় কলকাতা হাইকোর্টের৷ হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণের সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করা হয়৷ এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্টকে মান্যতা দেয় আদালত৷

চার বছর আগে পরীক্ষায় পাস করে নিযুক্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক৷ প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় জড়িয়ে ছিল নিয়োগ হওয়া ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যত৷ তবে, গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের জয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ৪০ হাজার শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ৷ তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সন্তুষ্ট নন মামলাকারীরা৷ ফের মামলা উঠতে চলেছে ডিভিশন বেঞ্চে৷ তবে, নতুন করে মামলা দায়ের হলে ফের বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ৪০ হাজার শিক্ষক৷ তবে, সেঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার পরও খোলা থাকছে সুপ্রিম কোর্টের দরজা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *