কলকাতা: রাজ্যে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ বা টেট (TET) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জারি ছিল তরজা। তবে জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেট নিয়ে শুনিয়েছেন আশার কথা। ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বেকারদের মুখে যে হাসি ফুটেছে, তা বলাই বাহুল্য।
জানা গেছে, গোটা রাজ্যের মোট ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন চাকরিপ্রার্থী টেট প্রক্রিয়ার ভেরিফিকেশনে অংশ নিতে চলেছেন। সম্প্রতি আপার প্রাইমারি টেটের ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সকল প্রার্থীদের নথি যাচাই ও জমা দেওয়ার কাজ হবে। সমস্ত বিষয়টিই হবে অনলাইন মাধ্যমে। গত সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। ওই লিঙ্কে এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেই জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
রাজ্যে সরকারি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে হামেশাই যে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন প্রার্থীরা, এখনও পর্যন্ত টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সে ধরণের কোনো ভোগান্তি সামনে আসেনি। তবে অনলাইন প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে যাতে কোনো প্রার্থী বঞ্চিত না হতে পারেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে শীঘ্রই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন। সূত্রের খবর, আপাতত প্রথম কয়েকদিন দেখেই কমিশনের সঙ্গে সমস্যাবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা ভাববে ওই সংগঠন। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘কমিশনের দ্রুত অনলাইন নথি যাচাই পর্বকে সাধুবাদ জানাই। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক।’’
অবশ্য অনলাইন মাধ্যমে টেটের মতো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সুবিধাগুলিও বিশেষ ভাবেই উল্লেখ করেছেন আবেদনকারীরা। প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি প্রার্থীর ভেরিফিকেশন বাড়িতে বসেই করোনা বিধি মেনে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। অনলাইন না হলে এটি নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ বিষয় হত। তবে প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধা রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে কতটা রয়েছে, সকলে প্রযুক্তির সঙ্গে কতটা স্বচ্ছন্দ তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।