TET মামলায় ফের ধাক্কা! ‘আপনারা ছিনিমিনি খেলেছেন’, চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট!

TET মামলায় ফের ধাক্কা! ‘আপনারা ছিনিমিনি খেলেছেন’, চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট!

 

কলকাতা: টেট পরীক্ষার্থীদের করা মামলায় হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়তে হল রাজ্য ও পর্ষদকে। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির পর ২০২১ সালে পরীক্ষা নেওয়ার জেরে প্রশ্নের মুখে জেরবার হতে হল পর্ষদের পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্তকে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ডিএলইডি প্রশিক্ষণরত ২০১৮-২০ ব্যাচের পিটিশনারদের বসতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। যে পরীক্ষা অবশেষে হল ৩১ জানুয়ারি ২০২১-এ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে পরীক্ষার্থীরা।

পর্ষদ পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত মঙ্গলবার এ নিয়ে আদালতে বলেন, ‘‘মামলাকারীরা ২০১৮ সালে এলিজেবল হয়েছিল। কিন্তু টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৭ সালে। এই টেটটা যদি ২০১৮ সালে হত তাহলেও তারা আর আবেদন করতে পারতেন না। তাই এখন তাদের আবেদন কোনোভাবেই গ্রাহ্য হতে পারে না।” বিচারপতি ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা ২০১৮ সালেই কেন নেওয়া হল না সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটি)-এর গাইডলাইনে প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য নিজের সুবিধা মত পরীক্ষা নিতে পারে।”

তবে ২০১৭ সালের মে টেট নেওয়ার কথা ছিল, সেই টেট ২০২১ সালে এসে নেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। মাঝখানে পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে পর্ষদের আইনজীবী করোনার কথা বলেছেন। বিচারপতি আরটিই ২০০৯-এর কথা বলেছেন, যেখানে সময়মতো শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “আরটিই ২০০৯-তে যা লেখা রয়েছে সেটা ছাত্রদের অধিকার। আর সেটা ঠিকঠাক ইমপ্লিমেন্ট করা সরকারের দায়িত্ব।”

কিন্তু পর্ষদ পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত যুক্তি দেখিয়েছেন, “প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যকে প্র্যাকটিক্যালি ভাবতে হবে। প্রতিবছর টেট নিলে সিট অনেক কম থাকবে, কিন্তু প্রার্থী অনেক বেশি হয়ে যাবে। সেই কারণে প্রতিবছর টেট পরীক্ষার আয়োজন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই সিট বাড়ার জন্য অপেক্ষা করে একটু দেরি করেই টেট নেওয়া হয়। এবারে যেমন ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ হবে। আগের টেটে ৪০ হাজারেরও বেশি নিয়োগ হয়েছে।”

তবে বিচারপতির পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পর্ষদ ও রাজ্যকে। তিনি জানিয়েছেন, “আরটিই ২০০৯ অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার নষ্ট হচ্ছে। এনসিটি-এর গাইডলাইন বাধ্যতামূলক নয় বলে আপনারা যা খুশি তাই করবেন? শিক্ষার অধিকার আইনকে নিয়ে আপনারা ছিনিমিনি খেলেছেন।” তিনি বুধবার দুপুর ২টোয় ফের এই মামলায় সময় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *