কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই টালবাহানা চলছে৷ বারবার আবেদন-নিবেদন, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি৷ এখনও নিয়োগ পাননি ২০১৫ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ ও ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা৷ একই ভাবে নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরাও৷
আরও পড়ুন- বদলি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন শিক্ষক সংগঠনের
নিয়োগের দাবিতে এবার রাজ্যজুড়ে প্রতিটি জেলায় জেলাশাসক ও DPSC তে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ছয় ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্য মঞ্চ (ডি.এল.এড)৷ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাদাগ কলেজ মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে জেলা শাসকের দফতরে পৌঁছন বাঁকুড়া জেলার চাকরি প্রার্থীরা৷ সেখানে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা৷ ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভও করেন প্রার্থীরা৷
অন্যদিকে গত মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় যেমন সমস্যায় পড়েছে স্কুল পড়ুয়ারা, তেমনই সংকটে পড়েছেন কয়েক হাজার হবু উচ্চ প্রাথমিক চাকুরিপ্রার্থীরাও। পুজোর ছুটির পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়োগ করার কথা ছিল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোর্টের স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই দ্রুত নিয়োগ করা হবে৷ পুজোর ছুটির পরেই হাইকোর্টের চূড়ান্ত অর্ডার আসার কথা।
আরও পড়ুন- আরও ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বাংলায়, মাছ-শাড়ি বিক্রির ‘পরামর্শ’ মুখ্যমন্ত্রীর!
২০১৫ সালে হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের পরীক্ষা৷ তারপর থেকে দীর্ঘ ৫ বছর অতিক্রান্ত৷ এখনও কাঙ্খিত নিয়োগ অধরা। বছরের পর বছর নিয়োগ পিছনোর জন্য সরকারের টালবাহানাকেই দায়ি করেছে ওয়াকিবহাল মহল৷ হবু উচ্চ প্রাথমিক ও শিক্ষক মহলে দ্রুত স্কুল খোলার দাবিও উঠতে শুরু করেছে৷ তাঁদের দাবি, দ্রুত উচ্চ প্রাথমিক চাকুরিপ্রার্থীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হোক৷
এদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারাও৷ অনলাইন ক্লাস চললেও, সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বহু পড়ুয়াই৷ সিলেবাসের সিংহভাগই অসমাপ্ত৷ সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়ছে গরিব শিক্ষার্থীরা৷ যাদের কাছে মোবাইল ফোন বিলাসিতা৷