ভয়ংকর অবস্থা দেশের কর্মসংস্থানে! নয়া রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘের অশঙ্কা

নয়াদিল্লি: দেশে প্রবল মন্দার অর্থনীতিতে কাজের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মোদি সরকারের আশ্বাস যে শুধুই কথার কথা তা প্রকাশ্যে আনল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান৷ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৮ প্রথাগত ক্ষেত্রে নতুন করে পেরোলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন৷ যা চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন৷ এর আগে গত অগস্ট মাসে পেরোলে যুক্ত হয়েছিলেন

ভয়ংকর অবস্থা দেশের কর্মসংস্থানে! নয়া রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘের অশঙ্কা

নয়াদিল্লি: দেশে প্রবল মন্দার অর্থনীতিতে কাজের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মোদি সরকারের আশ্বাস যে শুধুই কথার কথা তা প্রকাশ্যে আনল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান৷ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৮ প্রথাগত ক্ষেত্রে নতুন করে পেরোলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন৷ যা চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন৷ এর আগে গত অগস্ট মাসে পেরোলে যুক্ত হয়েছিলেন ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৮১কর্মী৷

তার আগে জুলাই মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৯ জন৷ জুন মাসে ছিল ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১০১ জন এবং এপ্রিল-মে মাসে পেরোলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন যথাক্রমে ১০ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ ৪ হাজার৷ নতুন ইপিএফ গ্রাহকদের তথ্য অনুসারে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে নতুন বেতনে সংযোজনের তালিকায় প্রায় ৪৫২,০০০ জন ছিলেন যাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ থেকে ২৫ বছর৷ অর্থাৎ তারা নতুন চাকরি প্রার্থী৷ কিন্তু আগস্ট মাসের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৫৫,০০০ কম৷

অতীতের ইপিএফও তালিকাভুক্ত গ্রাহকদের নিরিখে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পেরোলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯-এ ৬০ লক্ষ ১১হাজার কর্মী প্রথাগত ক্ষেত্রে যোগ দিয়েছিল এবং ২০১৮সালের ৩১মার্চ পর্যন্ত শেষ সাত মাসে এই সংখ্যা ছিল ১০লক্ষ ৫৫ হাজার৷

পর্যাপ্ত চাকরির অভাব এবং বেকারত্বের হার ভারতে গত কয়েক বছর ধরে একটি জ্বলন্ত সমস্যা৷ যার ফলে ভারতের কর্মপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ শ্রমজীবী হয়ে পড়ছে৷ যোগ্যতা ও দক্ষতার নিরিখে পছন্দসই চাকরি না মেলায় প্রতিবছর প্রায় ১২ কোটি কর্মপ্রার্থী শ্রমজীবী হতে বাধ্য হচ্ছে৷

অসংগঠিত ক্ষেত্রেও লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে তা আগেই স্বীকার করেছিল কেন্দ্র৷ কৃষি বাদ দিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত জনগনের হার ২০১৩-১৪-তে ছিল ৫৩.৭ শতাংশ৷ ২০১৫-১৬-তে তা কমে দাঁড়ায় ৫০.৫ শতাংশে৷ আর ২০১৭-১৮-তে তা আরও কমে হয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ৷ অর্থাৎ অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা কয়েক বছরের মধ্যে সাত শতাংশ কমে গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *