আউশগ্রাম: সদ্য নিযোগ হয়েছিল শিক্ষক। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক পায়নি আউশগ্রামের বেলাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। অথচ ২০১০ সাল থেকে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকই নেই। ফলে চরম সমস্যায় পড়ুয়ারা। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শনিবার স্কুলের মেন গেটে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। তাতে সামিল হন অভিভাবকরা। ১২ জানুয়ারির আগে স্কুলের চারটি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বেসরকারি স্কুলের দাপটে বহু সরকারি স্কুলে ছাত্র তলানিতে ঠেকেছে। অথচ বেলাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪৫০। আগে বেলাড়িতে জুনিয়র হাইস্কুল ছিল। ১৯৯৯ সালে উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন পাওয়া যায়। এলাকার ছেলেমেয়ের দূরের স্কুলে যেতে না হওয়ায় খুশি হয়েছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু দীর্ঘ দিন বিজ্ঞান বিভাগে কোনও শিক্ষক না থাকায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষিকা মিলিয়ে আট জন রয়েছেন। তবে অঙ্ক, জীবন বিজ্ঞান এবং ভৌত বিজ্ঞানের কোনও শিক্ষক নেই। ২০০৭-’০৮ সাল নাগাদ চার জন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা অন্য চাকরি পেয়ে চলে যেতেই সমস্যা শুরু হয়। সেই পদ আজও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ২০১০ সাল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কোনও শিক্ষক স্কুলে নিয়োগ হয়নি। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিশা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবনীতা পালের কথায়, ‘আমরা স্কুলে ভর্তির পর থেকেই দেখছি, বিজ্ঞান বিভাগে কোনও শিক্ষক নেই। জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান নিজে তবু বাড়িতে পড়তে পারি। কিন্তু অঙ্ক কী ভাবে নিজে করব?’
শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারি পড়ুয়া-অভিভাবকদের
আউশগ্রাম: সদ্য নিযোগ হয়েছিল শিক্ষক। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক পায়নি আউশগ্রামের বেলাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। অথচ ২০১০ সাল থেকে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকই নেই। ফলে চরম সমস্যায় পড়ুয়ারা। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শনিবার স্কুলের মেন গেটে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। তাতে সামিল হন অভিভাবকরা। ১২ জানুয়ারির আগে স্কুলের চারটি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য