কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ব্রাত্য বসু। তাই এবার অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের সমস্যা সমাধানের জন্য নয়া শিক্ষামন্ত্রীর উপরেই আস্থা রাখছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষাকর্মীরা। গতবছর লকডাউনের পরই অক্টোবর মাসে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুলস্তরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য মিউচুয়াল ট্রান্সফার পোর্টাল শুরু করেন৷ কিন্তু পোর্টালে রাজ্যের শিক্ষকদের বাড়ির কাছাকাছি ফেরার সুযোগ তৈরি হলেও শিক্ষাকর্মীদের জন্য আবেদনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷
গত বছর অক্টোবর মাসে অনলাইনে ট্রান্সফার পোর্টাল শুরু হওয়ায় অফলাইন অথবা ফর্মের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ট্রান্সফার প্রক্রিয়া এসএসসির হাত থেকে স্কুল শিক্ষা কমিশনারের হাতে চলে যায়। এদিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য বদলি শুরুর নির্দেশ প্রকাশিত হলেও শিক্ষাকর্মীদের জন্য আবেদন করারও কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কমিশনারের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও পোর্টালে শিক্ষাকর্মীদের আবেদন করার ব্যবস্থা করা হয়নি। রাজ্যের কয়েক হাজার গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মচারী বাড়ি থেকে কয়েক’শ কিলোমিটার দূরে চাকরী করলেও নিজেদের মধ্যে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিতে পারছেন না। বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন না লাইব্রেরিয়ানরাও।
এই বিষয়ে শিক্ষক সংগঠন ‘অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই জানিয়েছেন, “অনলাইন পোর্টালে নন টিচিং ও লাইব্রেরিয়ানদের আবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন করছি। তাছাড়াও, সকলের জন্য অনলাইনে জেনারেল ট্রান্সফার শুরু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা শিক্ষাকর্মী শিপ্রা প্রামাণিক শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ২০০ কিলোমিটার যাতায়াত করে স্কুল করছেন। অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফার না পেয়ে তিনি স্পেশাল ট্রান্সফারের জন্য আবেদন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তিনি ট্রান্সফার পাননি। নিজের বাড়ি থেকে কয়েক’শ কিলোমিটার দূরে চাকুরীরত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা শিক্ষাকর্মী শুভঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, “অনলাইন মিউচুয়ালে আমাদেরকে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আবেদন করছি।”