কলকাতা: কেন এনও চালু হল পে প্রোটেকশন? কেন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের নতুন বিদ্যালয় যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে পে প্রোটেকশন নিশ্চিত করা হচ্ছে না? মূলত এই দাবির ভিত্তিতে এবার শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে ধর্নায় বসলেন শিক্ষকদের একাংশ৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিধানসভায় ঘোষণা করা সত্ত্বেও এখনও পে প্রোটেকশনের নির্দেশ হাতে পাচ্ছেন না নতুন স্কুলে যোগদানকারী শিক্ষকরা৷ অবিলম্বে তা কার্যকর করার দাবিতে আজ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান করেন মাধ্যমিক শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা৷
অভিযোগ, কর্মরত শিক্ষকরা SLST দিয়ে নতুন স্কুলে যুক্ত হওয়ার পর পাচ্ছেন না চাকরির কনটিনিউয়েশন। নতুন স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার পর তাঁরা জানতে পারছেন, তাঁদের ইনিশিয়াল পে নিতে হবে৷ অতএব ৩-১৫ বছর চাকরি করার পর এখন তাঁদের মাসিক বেতন এক ধাক্কায় ৫-২০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে৷
গত ৪ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় শিক্ষাদপ্তরের বাজেট পেশ করে কর্মরত শিক্ষকদের আর্থিক লোকসান ঠেকাতে পে প্রোটেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান৷ কর্মরত শিক্ষকদের একটা বড় অংশই বাড়ির কাছাকাছি আসার জন্য চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ মাধ্যমিক শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে উচ্চতর বেতনের আশায় পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট ধাপের ন্যূনতম বেতন পাচ্ছেন৷ দীর্ঘদিন চাকরি করে আসার ফলে তাঁরা সিনিয়রিটি, বর্ধিত বেতন, সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন৷ কারও কারও মাসিক লোকসানের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্তও রয়েছে৷ বাজেট নিয়ে আলোচনায় এই প্রসঙ্গ তোলেন বিরোধী দলের সদস্যরা৷ জবাবি ভাষণে কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশনের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ অভিযোগ, বিধানসভায় ঘোষণা হলেও এখনও তা কার্যয়ক হয়নি৷