কলকাতা: রাজ্যের শাসক দলের চাপ বাড়িয়ে ফের রাজপথে নামলেন শিক্ষকদের একাংশ৷ শিক্ষকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদ ও হুমকি উড়িয়ে আজ শুক্রবার শহর কলকাতায় মিছিলেন পা মেলালেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির প্রতিনিধিরা৷ মিছিল থেকে শিক্ষকদের সমস্যা তুলে ধরে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়৷
ডিএলএড প্রাপ্ত সমস্ত শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট চালু, গ্রাজুয়েট টিচারদের টিজিটি স্কেল (৯০০০-৪০৫০০) চালি, সঙ্গে ৪৬০০ টাকা গ্রেড পে দেওয়ারও দাবি তোলা হয়েছে৷ পাস গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের ক্ষেত্রে গ্রেড-পে ৪৬০০ টাকা, অনার্স গ্রাজুয়েটদের ক্ষেত্রে ৪৭০০ টাকা ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ক্ষেত্রে ৪৮০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়৷ এছাড়াও বিএড জনিত কারণে লস্ট ইনক্রিমেন্ট এরিয়ার যাঁরা পাচ্ছেন না, সেই লস্ট ইনক্রিমেন্টের এরিয়ার অবিলম্বে তাঁদের মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি তোলা হয় শিক্ষক সংগঠনের তরফে৷
এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়ার দাবিও উঠে শিক্ষকদের মিছিল থেকে৷ লাইবেরিয়ার ও শিক্ষা কর্মীদের আর্থিক বঞ্চনার বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে শিক্ষক সংগঠনের তরফে৷ নন জয়নিং শিক্ষকদের নতুন করে কাজে যোগদানের সুযোগ সহ প্রতিটি স্কুলে ঝাড়ুদার ও নাইটগার্ড নিয়োগের দাবি তোলা হয়৷
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লস্ট ইনক্রিমেন্টের এরিয়ার প্রদান-সহ ১৩ দফা দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কয়ারে থেকে রানি রাসমণি এভিনিউ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন৷ পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে একটি স্মারকলিপি মুখ্যসচিবের কাছে তুলে ধরা হয়৷ শিক্ষকদের পেশাগত বিভিন্ন দাবি সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো হয় সংগঠনের তরফে৷ শিক্ষামন্ত্রী আজ ব্যস্ত থাকায় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি৷
সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক আন্দোলনে ভয় দেখানোর প্রতিবাদে ভয় ভাঙানোর মিছিলে আজ ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে৷ আশাকরি শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপের আগে সরকার নিশ্চয় সাবধান হবে৷ শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য STEA ঐক্যবদ্ধ ও ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে৷ কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্য কমিটির প্রতিনিধি দল শিক্ষকদের পেশাগত দাবি সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে৷’’