বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের যুদ্ধ ঘোষণা শিক্ষকদের, চূড়ান্ত সময়সীমায় কাটবে জট?

কলকাতা: রাজ্য সরকারকে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা প্রায় শেষের পথে৷ রাজ্যকে দেওয়া ১৫ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস ছাড়া সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় ফের রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের৷ গত ২৪ জুন ধর্মতলা অভিযানে নেমে পুলিশি তাণ্ডবের শিকার হওয়ার পরও থামছে না যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি৷ বুধবারের মধ্যে সরকারের তরফে

2828999f73e0e55b756f2157908bce9d

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের যুদ্ধ ঘোষণা শিক্ষকদের, চূড়ান্ত সময়সীমায় কাটবে জট?

কলকাতা: রাজ্য সরকারকে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা প্রায় শেষের পথে৷ রাজ্যকে দেওয়া ১৫ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস ছাড়া সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় ফের রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের৷ গত ২৪ জুন ধর্মতলা অভিযানে নেমে পুলিশি তাণ্ডবের শিকার হওয়ার পরও থামছে না যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি৷ বুধবারের মধ্যে সরকারের তরফে বেতন বৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হলে আগামী শুক্রবার ফের রাজপথে নেমে রাজ্য বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷

প্রাথমিক শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন উস্তি ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ ও সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘আমরা যে পে স্কেল জমা দিয়ে এসেছিলাম, শোনা যাচ্ছে রাজ্য সরকার অন্য স্কেল দিতে চাইছে৷ যেটা সাধারণ শিক্ষকরা মেনে নেবেন না৷ ১৪ জন শিক্ষককে অনৈতিক ভাবে জেলার বাইরে বদলি করা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন৷ সেটাও এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি৷ আমরা চাই, আমাদের সংগঠন এই রাজ্যের সব প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতন নিয়ে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন, তাই পে রিভিউ কমিটির সঙ্গে আলোচনার জন্য আমাদের সংগঠনকে ডাকা হোক৷ অনৈতিক ভাবে বদলিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিজের জেলায় ফেরত আনা হোক৷’’

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সরকারের কাছে যে স্কেলের দাবি জানিয়েছিলাম ও শিক্ষামন্ত্রী কাগজে লিখে নিয়েছিলেন, সেই স্কেল দেওয়া হোক৷ আমরা সরকারের কাছ থেকে আগামী ১০ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে এই বিষয়ে লিখিত মতামত চাইছি৷ না হলে আমরা আগামী ১২ জুলাই সব প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে দুপুর ১২টায় ফের আমরা রাস্তায় নামব৷ এবার নামব বিকাশভবনের সামনে করুনাময়ী বাসস্ট্যান্ডে৷ আশা রাখি, পশ্চিমবঙ্গের সরকার ১ লক্ষ ৮৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *