কলকাতা: সদ্য দাবি মিটিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা৷ যোগ্যতা আনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি না মিলটেও গ্রেড-পে বৃদ্ধির ঘোষণায় আপাতত সন্তুষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতট জট কাটতে না কাটতেই এবার সর্বভারতীয় বেতন কাঠামো টিজিএ স্কেলের দাবিতে বড়সড় আন্দোলনে নামলেন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ নিজেদের দাবি-দাওয়া জানাতে এবার শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন৷
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘আজ বিজিটিএ’র তরফ থেকে আমরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলাম৷ সকাল ৮ টায় মোটামুটি সবাই পৌঁছে যাই৷ কিন্তু ১০টার সময় জানানো হয়, শিক্ষামন্ত্রী দেখা করবেন না৷ আমরা হতাশ হয়ে পড়ি৷ পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষামন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তাঁর দ্বারস্ত হব৷ এই উদ্দেশ্যে আমরা রাস্তায় ব্যারিকেডের বাইরে অপেক্ষা করি বৃষ্টির মধ্যেও৷ পরে শংকর সিংহের হস্তক্ষেপে শেষমেষ আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়৷’’
এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল৷ দাবি-দাওয়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল৷ গোটা বিষয়টি বুঝে শিক্ষকদের ইতিবাচক সাড়া দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে পর্যালোচনা করে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বলেও ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী৷
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, টিজিটি স্কেল অনুযায়ী গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন কাঠামো যা হওয়ার কথা, তা তুলনায় অনেক কম পান বাংলার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷ পে-ব্রান্ড ৯ হাজার থেকে ৪০ হাজার ও গ্রেড-পে ৪ হাজার ৬০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন বাংলার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পান, পে-ব্রান্ড ৭ হাজার ১০০ থেকে ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা৷ সঙ্গে গ্রেড-পে ৪ হাজার ১০০ টাকা৷
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকদের দুটি ভাগে বেতন দেওয়া হয়৷ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট৷ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্ধারিত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর তুলনায় অনেক কম৷ এই নিয়ে বারংবার দরবার করা হলেও কোনও সমাধান হয়নি৷ ফলে, আগামী মাসেই বড়সড় আন্দোলনের ডাক বলেও জানানো হয়েছে৷