কলকাতা: মামলার গেরোয় থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৫ সালে জারি হওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর ২০১৯ সের শেষলগ্নে দাঁড়িয়েও এখনও হয়নি নিয়োগ৷ দীর্ঘ চার বছর পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সফল চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার ধৈর্যের বাধ ভাঙছে চাকরিপ্রার্থীদের৷ আর সেই কারণে, শিক্ষক দিবসের দিনেই ফের পথে নামছেন সফল চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে এবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ৷ আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে৷ জামায়াত হবে শিয়ালদহের বিগবাজারে, সকাল ১১টায়৷ দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি বলে জানা গিয়েছে৷
যদিও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এর আগে কম আন্দোলন করেননি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার পুলিশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন তাঁরা৷ কমিশনের দপ্তরে ধর্না দিতে গিয়ে পুলিশের মার ও গ্রেপ্তারির মতো ঘটনা ঘটেছে৷ লাগাতার আন্দোলনের চাপে পড়ে কার্যত বাধ্য বাধ্য হয়ে ভেরিফিকেশন চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ভেরিফিকেশনের নথি যাচাই প্রক্রিয়া শেষে ইন্টারভিউ ঘিরেও জটিলতা তৈরি হয়৷ অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে৷ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রায় সাড়ে চার হাজার চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউতে ডাকে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে এখনও চলছে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা৷ যদিও এই মামলা প্রায় নিষ্পত্তি হওয়ার মুখে৷ তবুও, দীর্ঘ মামলার আইনি জট, এসএসসির নিয়োগ পদ্ধতি ঘিরে বারংবার প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এবার তারই প্রতিবাদে রাজভবন অভিযানের ডাক দেয়া হয়েছে৷
চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা তাঁদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন৷ তবে, চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনে বাধা দিতে পারে পুলিশ৷ শিয়ালদা বিগবাজার মোড়ের কাছে তাঁদের আটকে দিতে পারে পুলিশ৷ কেননা এর আগেও পিএসসির চাকরিপ্রার্থীদের রাজভবন অভিযান একইভাবে শিয়ালদহের বিগবাজার থেকে তাঁদেরকে আটকে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ৷ ফলে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা যে ঘটবে না তা নিয়েও সন্দিহান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷