কলকাতা: তৃতীয় গ্রেড-পে অনুযায়ী প্রাইমারি শিক্ষকদের গ্রেড পে বাড়লেও। কেন্দ্রীয় প্রাইমারি শিক্ষকদের থেকে তা অনেকটাই কম। তাই বেতন বাড়লেও তাতে সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা। সর্বভারতীয় বেতনক্রম পিআরটি স্কেলের দাবিতে তাই ফের একবার জোরদার আন্দোলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যের বিজেপি টিচার্স সেল।
গতবছর নতুন বেতন কাঠামো চালু হওয়ার ফলে একধাপে অনেকটাই বেড়ে যায় রাজ্যের শিক্ষকদের বেতন। ফলে আগে চাকরির শুরুতেই প্রাথমিক শিক্ষকরা যেখানে পেতেন ১৯ হাজার টাকা। নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েই তারা পাচ্ছেন ২৫ হাজার ৬৮০ টাকা। যারা আগে থেকেই চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন তাদের বেতনও অন্তত ৬ হাজার ৭৮০ টাকা বেড়ে যায়। প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড-পে ২৬০০ থেকে বেড়ে হয় ৩৬০০। অপ্রশিক্ষিতদের গ্রেড-পে ২৩০০ থেকে বেড়ে হয় ২৯০০ টাকা।
বিজেপি টিচার্স সেলের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে সিনিয়র টিচার্স এবং জুনিয়র টিচার্সদের বেতন এক হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল থেকে নোশনাল এফেক্ট দেওয়ার কথা থাকলেও কথা রাখেনি সরকার। পাশাপাশি বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য কনভেনার দিপল বিশ্বাস জানান নতুন পে-কমিশনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের যেহারে বেতন দেওয়া হচ্ছে তা অন্যান্য রাজ্যের বেতনের তুলনায় অনেক কম। পাশাপাশি, মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকরা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন।
রাজ্য সরকার বেতন বৈষম্য অবসানের কথা দিয়েও কথা রাখেনি। তাই সংগঠনে পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অবসানে বৃহত্তর আন্দোলনে নামছি। বিজেপি টিচার্স সেলের প্রাথমিক শাখার রাজ্য কো-ইনচার্জ সব্যসাচী ঘোষ জানান নতুন পে-কমিশনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের নতুন কাঠামোতেও বেতন বৈষম্যের কোনো সমাধান হয়নি। সিনিয়র টিচার্স এবং জুনিয়র টিচার্সদের বেতন এক হয়ে এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবি আবারও আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে এই সংগঠন ।