বাঁকুড়া: ‘টেট উর্ত্তীর্ণ বঞ্চিত ডিএলএড ঐক্যমঞ্চে’র সৌজন্যে রবিবার ৫ সেপ্টেম্বর অন্য এক ‘শিক্ষক দিবস’ পালনের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া শহর। রবিবারসরীয় সকালে ওই সংগঠনের তরফে শহরের কলেজ মোড়ে দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ড: শ্রী সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মূর্তিতে মালা দিয়ে উপস্থিত সকলকে মাস্ক, কলম ও চকোলেট বিতরণ করা হয়। কিন্তু এত সবের পরেও নিজেদের দাবি থেকে সরে আসেননি ডিএলএড প্রশিক্ষিত চাকরী প্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে ২০১৪ সালের ২০ হাজার টেট উর্ত্তীর্ণ-প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে ১৬ হাজার ৫০০ ও পরে ধাপে ধাপে বাকিদের নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। মোট ২০ হাজারের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার নিয়োগপত্র পেয়েছেন। বাকিদের নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই মুহূর্তে যেখানে স্কুলে শিক্ষক দিবস পালন করার কথা, সেই জায়গায় তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষক দিবস পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই দিন তাঁরা দেখতে চাননি। এদিন এই কথা বলতে বলতে হবু শিক্ষকদের অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়৷
আন্দোলনকারী সুপ্রিয়া সাধু , শ্রাবণী সাহু-রা বলেন, ‘‘যাবতীয় যোগ্যতা অর্জনের পর পরীক্ষাতেও কৃতকার্য হয়েছি৷ তারপরেও আমাদের এভাবে বঞ্চিত করার কারণ কি? আমাদের অপরাধটা যদি সরকার জানায় তাহলে ভাল হয়৷’’ বলেছেন, ‘‘আমরা মেধাবী কিন্তু গরিব৷ তাই কি আমাদের চাকরি আটকে যাচ্ছে?’’ রবিবার ছুটির দিন শিক্ষা দফতরের কোনও কর্তার অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷