কলকাতা: অপশন ফর্ম ও পে ফিক্সেশন সংক্রান্ত বিভ্রান্তি কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷
কলকাতা হাইকোর্টের আকর্ষণ করার পর শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘অপশন ও ফিক্সেশন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে৷ এই বিভ্রান্তির কারণে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের পে স্কেল ও গ্রেড পে পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ আর পে স্কেল ও গ্রেড পে পরিবর্তন হলে শুধু ফিক্সেশনের বদল না হলেও হয়তো অপশন বদল করতে হতে পারে৷ ফলে, হাইকোর্টে আজ এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ আদালত আগামী শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি করবে৷’’
শিক্ষক সংগঠনের দাবি, ‘‘আমরা আদালতে বলব, আমাদের একাধিকবার অপশন বদলের সুযোগ দেওয়া হয়৷ ফলে, আপনারা নিশ্চিন্তে অপশন ফর্ম পূরণ করুন৷ আমরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে হলফনামা না পেলে শুক্রবার আদালত অবমাননার দায়ের জন্য হাইকোর্টের কাছে দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপের আবেদন জানাব৷’’
বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, টিজিটি ছাড়া যদি অপশন দিলে টিজিটি পাওয়া যাবে না, এমন আশংকা অমূলক৷ কারণ অপশনের সাথে সেই পে ব্যান্ড বা স্কেলের কোন সম্পর্ক নেই যা এখনো ঘোষণা করা হয়নি৷ এখন যে গ্রেড পে তে তাঁরা আছেন তার জন্য নির্ধারিত পে ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী যে বেসিক হচ্ছে শিক্ষকরা তা কোন ডেট থেকে নেবেন (১/১/১৬ না ১/৭/১৬) সেটাই অপশন৷ পরবর্তীকালে টিজিটি ঘোষণা হলে তখন এখনকার দেওয়া ডেট থেকে এফেক্ট হলেও ক্ষতি নেই৷
সেক্ষেত্রে যখন সংশোধিত রোপা-২ ( রিভাইজড পে) ঘোষণা হবে তখন সেখানে পে ব্যান্ড ও নোশনাল বেনিফিট উল্লেখ থাকবে এবং একটি পৃথক সার্কুলার বা অর্ডার জারি হবে৷ সেই অনুযায়ী পে ম্যাট্রিক্স আরও কয়েক ধাপ নেমে যাবে এবং শুধু বেসিক বেড়ে যাবে৷ এই ঘোষণা আগে যদি জানুয়ারির বেতন হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে এরিয়ারটুকুও অন্তত পাবেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা৷ বিজিটিএ তরফে জানানো হয়েছে, এবিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হযেছে৷ মূল রোপায় তিন মাস সময় দেওয়া সত্ত্বেও কেন জেলা পরিদর্শকরা মাত্র ১৫-১৬ দিনের মধ্যে অপশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন৷ এর ফলে আইন অমান্য করা হচ্ছে বলেও মত পোষণ করে বিজিটিএ৷