কলকাতা: মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় সুরাহা মেলার স্বপ্ন দেখলেও কার্যক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে বিপাকে তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে আবেদনও জানিয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়াও শিক্ষা দফতরেও জানানো হয়েছে বিষয়টি।
এবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিউচুয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের জেলায় বদলির সুযোগ পাবেন, কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা ঘোষণা করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে আশার আলো দেখেছিলেন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কার্যত হতাশ হয়েছেন তাঁরা। মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য অনেক কষ্টে নিজের পছন্দের এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষিকা খুঁজে পেলেও আবেদন করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত 348-SE/S/1S-06/2012 বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর ধারায় মিউচুয়াল ট্রান্সফারের যোগ্যতার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেই ৩-এর সি দাগেএ পাশাপাশি অন্য নির্দেশিকা নিয়ে দেখা দিচ্ছে জটিলতা, এমনই দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ৩-এর সি ধারায় উল্লেখ করা 'কনফার্মড' শব্দটি নিয়ে মূলত তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা দফতরে লেখা আবেদনপত্রে সেই কথাই জানানো হয়েছে। তাঁদের কথায়, অবিলম্বে ওই সরকারি আদেশনামার ৩সি ধারা সংশোধন করা (‘কনফার্মড’- এর পরিবর্তে ‘অ্যাপ্রুভড’) হলেই সমস্যার সমাধান মিলবে। এই পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন পুরনো ও নতুন নির্বিশেষে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির সুযোগ পাবেন, তেমনই মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রক্রিয়াও সহজ, সরল ও দ্রুত হবে।' এদিকে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জটিলতা প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, ‘এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে সহজ পদ্ধতির আপস-বদলিও আটকে আছে।' পাশাপাশি এর ফলে যে ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি।