তমলুক: রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের জারি করা স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ বিভ্রান্তিকর৷ এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি সহ অন্যান্য শিক্ষক সংগঠন৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, কোনও সুনির্দষ্ট নির্দেশিকা ছাড়া নামমাত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হঠকারিতার সাথে ২০১৬ সালের আগে নিযুক্ত সাধারণ শিক্ষকদের আপার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি সেকশনে অন্তর্ভুক্ত করার ‘ফরমান’ জারি করা হয়েছে৷ তাতে গোটা শিক্ষক সমাজ উদ্বিগ্ন ও আশঙ্কিত৷ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চলছে৷ এই ক্যাটাগরিতে নিয়োগের আগে যেভাবে তড়িঘড়ি মৌখিক গাইডলাইনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের উপর দায়ভার চাপিয়ে কাজটি করিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ শিক্ষকদের৷
সুনির্দিষ্ট নির্দেশ প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অনলাইন স্টাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার দাবিতে ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকদের একাংশ৷ নেতা তপন জানা, বাসুদেব দাস,শম্ভু মান্না-সহ শিক্ষকদের একাংশের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের উদ্বেগ কাটেতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করুক৷ সরকারি ভাবে নির্দেশ জারি না হওয়ার আগে অনলাইন স্টাফ প্যাটার্ন বন্ধ রাখার দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷
এবিষয়ে শিক্ষক নেতা তপন বাবু বলেন, কোনও রকম উপযুক্ত ও যুক্তিসঙ্গত সরকারি নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে আমাদের সমিতি রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে৷