কলকাতা: সদ্য দাবি মিটিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা৷ যোগ্যতা আনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি না মিলটেও গ্রেড-পে বৃদ্ধির ঘোষণায় আপাতত সন্তুষ্ট হলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের অন্দরে নেভেনি ক্ষোভের আগুন৷ (পড়ুন: শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জারি নয়া জটিলতা, বিভ্রান্তি) এবার প্রাথমিক শিক্ষকের অন্দরে ক্ষোভ স্তিমিত হতে না হতেই এবার সর্বভারতীয় বেতন কাঠামো টিজিএ স্কেলের দাবিতে তুঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি৷ জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে পড়ছে শিক্ষক বিদ্রোহের প্রস্তুতির আগুন৷
টিজিএ স্কেলের দাবিতে আজ শনিবার স্কুল ছুটির পর অন্তত ১২ থেকে ১৫ জেলায় শিক্ষকরা ঘরোয়া বৈঠকে বসেন৷ বারাসত থেকে বোলপুরের গ্র্যাজুয়েট টিচার্সদের একাংশ বৈঠক করে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেদের ঘর৷ প্রস্তুতির বৈঠকে শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিলও বেশ চোখে পড়ার মতো৷ কোথায় মাঠে বসে হয়েছে বৈঠক৷ কোথায় আবার হল ভাড়া নিয়ে করা হয়েছে বৈঠক৷ কোন গোষ্ঠীর বৈঠক হল খোলা স্টেশনের উপর৷ কাউকে আবার দেখা গেল চৌরাস্তা ধারে বৈঠক করতে৷ প্রায় প্রতিটি বৈঠকে ছিল উপচে পড়া ভিড়৷ আন্দোলনের রূপরেখা থেকে শুরু করে দাবি-দাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শিক্ষকদের একাংশ৷ শুধুমাত্র প্রস্তুতি পর্বেই শিক্ষকদের এহেন অংশগ্রহণ দেখে আগামী ১৯ আগস্ট টিজিএ স্কেলের দাবি ছিনিয়ে আনতে ডাকা অনশন কর্মসূচি সাফল্য পাবে বলেই মনে করছে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, টিজিটি স্কেল অনুযায়ী গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন কাঠামো যা হওয়ার কথা, তা তুলনায় অনেক কম পান বাংলার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷ পে-ব্রান্ড ৯ হাজার থেকে ৪০ হাজার ও গ্রেড-পে ৪ হাজার ৬০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন বাংলার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পান, পে-ব্রান্ড ৭ হাজার ১০০ থেকে ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা৷ সঙ্গে গ্রেড-পে ৪ হাজার ১০০ টাকা৷
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকদের দুটি ভাগে বেতন দেওয়া হয়৷ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট৷ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্ধারিত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর তুলনায় অনেক কম৷ এই নিয়ে বারংবার দরবার করা হলেও কোনও সমাধান হয়নি৷ ফলে, আগামী মাসেই বড়সড় আন্দোলনের ডাক বলেও জানানো হয়েছে৷