কলকাতা: এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলি৷ আবেদন নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি৷ সাধারণ বদলি বন্ধ ২০১৫ থেকে৷ আর তাতেই শিক্ষকদের একাংশকে পড়তে হয় সমস্যায়৷ অবশেষে সেই সমস্যার সুরাহা মিলেছে৷ নতুন করে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের কাউন্সেলিং করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু, কাউন্সেলিং পর্ব মিটলেও বদলির ছাড়পত্র হাতে না পেয়ে চূড়ান্ত বিপাকে বাংলায় বহু শিক্ষক৷
এর আগে গত ৩০ মে মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা পারস্পরিক বদলি ও ট্রান্সফার অন স্পেশ্যাল গ্রাউন্ডে বদলির প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ওই সময় মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য আবেদন গ্রহণের পর গত ৫ ডিসেম্বরকাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ করেছে কমিশন৷ বিবৃতিও প্রকাশ করে ঢাকঢোল পিটিয়ে বদলির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনও বদলির সরকারি ছাড়পত্র না পেয়ে চূড়ান্ত বিপাকে অন্তত ৬০০ জন শিক্ষক৷
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক স্কুল শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘‘স্কুল সার্ভিস কমিশন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া গত ৫ ডিসেম্বরে শেষ করেছে৷ প্রায় ৬০০ শিক্ষক কাগজে কলমে বদলি হয়েও নতুন বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পাচ্ছে না৷ স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও শিক্ষা পর্ষদের সমন্বয়ের অভাবে খেসারত দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের৷ অচার্য সদনের তরফে সবরকম প্রক্রিয়া শেষ করলেও ট্রান্সফার নির্দেশ হাতে থাকা সত্বেও শুধুমাত্র পর্ষদ অফিস নিবেদিতা ভবনের টালবাহানায় অথৈ জলে রয়েছে সদ্য বদলিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ৷’’
যদিও এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার আজ বিকেল ডট কমকে জানিয়েছিলেন, মিউচুয়াল ট্রান্সফারে জন্য আবেদন করা শিক্ষকদের চিঠি পাঠানো হবে৷ কমিশনের ওয়েবসাইটেও বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান৷ অভিযোগ, অচার্যসদন ও নিবেদিতা ভবনের সমন্বয়ের অভাবে বদলিপ্রক্রিয়া এখন বিশ বাঁও জলে!
এর আগে জেনারেল ট্রান্সফার বা সাধারণ বদলি ছাড়া পারস্পরিক বদলি ও বিশেষ কারণে বদলি প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ গত ৩০ মে তুলে নেওয়া হয়৷ পারস্পরিক বদলির জন্য আবেদন নেওয়ারও কাজ শুরু করে কমিশন৷ সেই সেই আবেদনের ভিত্তিতে চলতি মাসের শুরুতেই পারস্পরিক বদলির পদ্ধতিতে হাত লাগায় স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু কেন এত বিলম্ব? পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ইতিমধ্যেই স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ এই নিয়ে শিক্ষক মহলে তীব্র বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় তা এখন স্থগিত আছে৷ চলছে অপশন ফর্ম জমা দেওয়ার কাজ৷ ফলে কিছুটা হলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রথায় আপাতত গতি কমেছে৷