নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর মধ্যেই এবার চাকরি খোয়াচ্ছেন ত্রিপুরার কয়েক হাজার শিক্ষক৷ বাম আমলে নিযুক্ত হওয়া ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষকের চাকরিরমেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে৷ যদিও এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বাম আমলে নিযুক্ত হয় সমস্ত শিক্ষকরা৷ তবুও অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরিতে বহাল ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি ৩ মাসের সময় চাওয়া হলেও তা কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে, মহামারীর মাঝে চাকরি হারিয়ে পথে বসতে চলেছেন কয়েক হাজার শিক্ষক৷
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও চাকরি হারানোর মুখে থাকা শিক্ষকদের বক্তব্য শুনেছে৷ শুনানিতে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লিখিত ভাবে তাদের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীরা অতিরিক্ত তিন মাসের সময় প্রার্থনা করেন৷ কিন্তু সেই আর্জি কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ত্রিপুরা সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ ওই পরিপোর্টের পর চূড়ান্ত পদক্ষেপের কথা জানা যাতে পারে বলে সূত্রের খবর৷
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ করে তৎকালীন বাম সরকার৷ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দায়ের হয় মামলা৷ মামলা যায় দেশের শীর্ষ আদালতে৷ ত্রিপুরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়৷ চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক৷ পরে ওই শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখতে বাম সরকার ১৩ হাজার শিক্ষাকর্মীর পদ তৈরি করে৷ তাও সুপ্রিম কোর্ট ধাক্কা খায়৷ এই নিয়ে শুরু হয় নির্বাচনী যুদ্ধ৷ কাজ হারানোর আশঙ্কায় থাকা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি৷ কিন্তু, সরকার বদলের পর বিজেপি ওই ১৩ হাজার পদের নিয়োগ পাওয়া শিক্ষাকর্মীদের অনুমোদন না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে৷ সুপ্রিম কোর্টের বিজেপি সরকার কিছুটা সময় প্রার্থনা করে৷ সুপ্রিম কোর্ট গতবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষকদের বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এরপর আর কোনও আবেদন শোনা হবে না৷ আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি৷