ভোট ঘোষণার আগেই হোক উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি

ভোট ঘোষণার আগেই হোক উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি

b5187d56b07bae9438eab639b7404fe5

 

কলকাতা:  রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চের আন্দোলন বেশ কিছু বছর ধরে চলে আসছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন, আর এই সময়কালে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সরব হচ্ছেন বেকার যুবকেরা।  পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের তরফে করা হয় অবস্থান বিক্ষোভ৷ ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলের লেনিন মূর্তির পাদদেশে দুপুর ১২.৩০ থেকে বিকেল ৩.৩০ পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হল পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যরা। অবস্থান সমাবেশের পর তারা একটি মিছিল করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাব পর্যন্ত গিয়ে সেখানেও অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন।

অবস্থান কর্মসূচির পর পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারী চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সাত জন প্রতিনিধি কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, মঞ্চের সম্পাদক আনিসুর রহমান সহ মঞ্চের উল্লেখযোগ্য সদস্য ওসমান গণি, জয়শ্রী রায়, দীপমালা ঘোষ, তারিক আহমেদ, রবসন জানি’রা। এই সাংবাদিক সম্মেলনে মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানান, “অতি দ্রুত শূন্যপদ আপডেট করে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷” আগামী কিছু দিনের মধ্যেই বাংলায় নির্বাচনের বিধি ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ভোট ঘোষণার আগে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে মঞ্চের তরফে৷ এছাড়াও মঞ্চের সদস্যরা এদিন আরও একাধিক দাবি তোলেন। এদিন তাঁদের মুখ্য দাবি ছিল, ঘোষিত ১৪৩৩৯ টি শূন্যপদের সাথে কমিশন কর্তৃক কোর্টে জমা দেওয়া ৫০০১ এবং বিকাশ ভবন সূত্রে ৫১০৮টি বর্ধিত শূন্যপদ যুক্ত করে নিয়োগ করা।

এদিন এই বিভিন্ন দাবি সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের শতাধিক সদস্য সাংবাদিক বৈঠক শেষে ফের সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে মিলিত হয়। বৃহস্পতিবার এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মঞ্চের পক্ষ থেকে নিয়োগে দ্রুততা না দেখালে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও জানানো হয়৷ শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন, আর তার মাঝে বেকারত্ব ইস্যুতে পর্যুদস্ত রাজ্য সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ এসবের মাঝখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে আন্দোলনকারীদের সন্তুষ্টি প্রদান করেন, দাবি মেনে ভোটের ময়দানে ফিরতে পারে, সেটাই এখন দেখার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *