কর্মীদের কাজের জন্য বিকল্প স্থানের ভাবনা টাটার

কর্মীদের কাজের জন্য বিকল্প স্থানের ভাবনা টাটার

জামশেদপুর: করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে কর্মচারীদের কাজের জন্য নতুন ধরনের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে টাটা সন্স৷ করোনা পরিস্থিতিতে কর্মচারীরা আবার অফিসে কাজ করতে চাইলে, তাঁদের জন্য বাড়ি বা অফিস নয়, অন্য একটি বিকল্প তৃতীয় স্থানের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করলেন টাটা সন্স প্রাইভেটের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ।

মঙ্গলবার কাতার ইকনোমিক ফোরামে এই ব্যাপারে বক্তব্য দিতে গিয়ে চন্দ্রশেখরণ বলেন, করোনা নামক অতিমারি কেটে গেলে, যদি কেউ অফিসে এসে কাজ করতে চান, তাঁর জন্য অফিস বা বাড়ি ছাড়া, অন্য একটি বিকল্প তৃতীয় স্থানের পরিকল্পনা করতে হবে। সেটা অনেকটা স্যাটেলাইট অফিসের মতোও হতে পারে। হাইব্রিড মডেলে কাজ করতে হলে, এই বিকল্প স্থানের কথা ভাবা আবশ্যক। শুধু তাই নয়, কাজের জগতে মহিলাদের আরও বেশি মাত্রায় নিযুক্ত করার পক্ষেও জোরাল মত প্রকাশ করেছেন নটরাজন চন্দ্রশেখরণ৷ এই মুহূর্তে টাটা-তে মাত্র ২৩ শতাংশ মহিলা কর্মী কাজ করেন। পারিবারিক ও সামাজিক সহ নানা কারণে মেয়েরা কাজের জগতে এখনও পিছিয়ে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হলে, মহিলাদের উপার্জন করা জরুরি৷

প্রসঙ্গত, গত প্রায় দেড় বছরে করোনা নামক অতিমারিতে বিশ্বজুড়ে সার্বিক পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে কাজের ধরণও। বেশিরভাগ কোম্পানিতেই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কনসেপ্টে কাজ করছেন কর্মীরা। লকডাউন শুরুর সময় থেকে টাটার পাঁচ লক্ষ কর্মীও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মডেলে কাজ করছেন। যদিও এতে তাঁদের কাজে বা কাজের মানের কোনওরকম হেরফের হয়নি। ফলে আপাতত ২০২৫ সাল পর্যন্ত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মডেলেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা কনসালটেন্সি। এই মুহূর্তে মাত্র এক চতুর্থাংশ কর্মী অফিসে আসছেন, বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করে চলেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওযার পর কোনও কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতে না চাইলে, তাঁদের জন্য তৃতীয় স্থানের চিন্তাভাবনা শুরু করে দিল টাটা সন্স৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *