চালু নয়া বিধি! অথচ টাকা পেতে দেরি হবে, বলছে EPFO

চালু নয়া বিধি! অথচ টাকা পেতে দেরি হবে, বলছে EPFO

83a138805e5ea77783a07e6a58059407

নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে ২১ দিন লকডাউন। স্কুল, কলেজ ছাড়াও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়ছে। তবুও দেশবাসীর কথা ভেবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। টাকা তোলার ক্ষেত্রে নয়া সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা, মার্চ মাসের শেষে এমনই জানানো হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু নিজেদের কষ্টে উপার্জন করা টাকা আদৌ কি পাচ্ছেন গ্রাহকরা? এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশন-এর (ইপিএফও) তরফে সেটলমেন্টের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্র সরকারের ঘোষণায় যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন গ্রাহকরা, সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

করোনার জেরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় এক মার্কিন এজেন্সি ভারতের জয়পুরের এক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলবেন বলে আবেদন করেছেন। নয়া নিয়ম অনুসারে শিগগিরই তিনি তাঁর টাকা পেয়ে যাবেন বলেই আশা করেছিলেন। কিন্তু এপিএফও-র পক্ষ থেকে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। গোটা দেশে লক ডাউন জারি থাকায় তাদের কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বলে জানা গেছে সংবাদসূত্রে।

গত শুক্রবার ইপিএফও-র টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও একই বয়ানে একটি টুইট করা হয়েছিল গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে। সেখানে ক্লেম সেট্‌লমেন্টের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। এদিকে মুম্বইয়ের বাসিন্দা দিব্যা নায়েক ফেব্রুয়ারি মাসে আবেদন করেছিলেন তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য। মার্চের মাঝামাঝি সেই আবেদন মঞ্জুর করা হলেও এখনও পর্যন্ত টাকা পাননি তিনি। দিব্যা বলেন, 'আমরা আমাদের বহু কষ্টে উপার্জন করা টাকা পাচ্ছি না। এর মানে কী?' এছাড়াও তাঁর কথায়, 'আমার এই মুহূর্তেই যে টাকাটা লাগবে, এমন জরুরি কিছু নেই। কিন্তু কেউ না কেউ তো এমনও রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে টাকাটা লাগবে। তাদের ক্ষেত্রে কী হবে?'

করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে পিএফ-এর ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেই নিয়ম অনুসারে প্রভিডেন্ট ফান্ডে যত টাকা আছে তার ৭৫ শতাংশ অথবা তিন মাসের মাইনে তোলার আবেদন করতে পারবেন গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে বিকল্পদু'টির মধ্যে যেটি কম, সেটিই পাবেন তাঁরা। এর ফলে প্রায় চার কোটি গ্রাহক লাভবান হবেন বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *