নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা৷ করোনা রুখতে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ আর তার জেরে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন সমীক্ষা সংস্থা ভারতে বেকারির চাঞ্চল্য রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ দেশে ৪ জনের মধ্যে ১ জন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বলেও জানিছে সিএমআইই৷ এবার ভারতে বেহাল কর্মসংস্থানের বিস্ফোরক তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরল জিনিয়াস কনসাল্টেন্সি৷ করোনার জেরে আদৌ কি নতুন নিয়োগ সম্ভব? কর্মরত কর্মীরাও বা কতটা নিরাপদে রয়েছেন? সেই সংক্রান্ত তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে ওই সংস্থার তরফে৷
জিনিয়াস কনসাল্টেন্সি তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থানের বাজার বেসামাল হতে চলেছে৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে ৫৩.৪১ শতাংশ কোন নিয়োগের সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে৷ ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ২১.৫১ শতাংশ৷ ছাঁটাইয়ের পর পুনর্নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ১৫.২৬ শতাংশ৷ নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে ১০.১ শতাংশ৷
২০২০-২১ অর্থবর্ষে বেসরকারি সংস্থার কর্মী সংখ্যা কত বাড়তে পারে সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে৷ জিনিয়াস কনসাল্টেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে কর্মী সংখ্যা বাড়বে না ৮১.১৯ শতাংশ৷ ১ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে কর্ম নিয়োগ হতে পারে ১১.৩৬ শতাংশ৷ ১১ থেকে ২০ শতাংশ হারে কর্মী বাড়তে পারে ৭.৪৫ শতাংশ৷ অর্থাৎ নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ার ইঙ্গিত মিলছে এই পরিসংখ্যানে৷
কত বছরের অভিজ্ঞতায় ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলতে পারে? পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, কোনও ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ বছর অভিজ্ঞতা থাকা চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে ৩৫.৫০ শতাংশ৷ ১০ থেকে ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৯.৬১ শতাংশ নিয়োগ হতে পারে৷ ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের হতে পারে ২৩.৯৩ শতাংশ৷ নবাগতাদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা ১০.৯৬ শতাংশ৷
দেশের কোন প্রান্তে ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি? পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, পশ্চিম ভারতে ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ৩৪.৯৬ শতাংশ৷ পূর্ব ভারতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৭.৭৩ শতাংশ৷ উত্তর ভারতে আশঙ্কা ১৮.৯৫ শতাংশ৷ দক্ষিণ ভারতে ১৮.৩৬ শতাংশ হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে জিনিয়াস কনসালটেন্সি৷ ছাঁটাই হলে বিপদ সবথেকে বেশি কোন কর্মীদের ক্ষেত্রে? সেই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, জুনিয়রদের ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা প্রবল৷ সেখানে ৫১.৩৫ শতাংশ হারে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে জুনিয়রদের ক্ষেত্রে৷ মাজহারি মানের ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা ৩৪.৯১ শতাংশ৷ সিনিয়রদের ক্ষেত্রে ৯.৪৪ শতাংশ ছাঁটাই হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷