কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় সরকারের হারেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে স্যাটের রায় দলমত নির্বিশেষে সব কর্মচারী সংগঠন সংগঠন স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে এরইমধ্যে কর্মচারী সংগঠনের আশংকা, এই রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত স্যাটের রায় মেনে নেবে তো? সূত্রের খবর, খুব সম্ভবত এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে রাজ্য সরকার৷ উচ্চ আদালতে দায়ের হতে পারে মামলা৷
তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্যাটের রায়ে তাঁকা খুশি৷ দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ নিয়ে স্যাটের কাছে দাবি পেশ করেছিলেন তাঁরা৷ সেই দাবি মেনে নিয়েছে স্যাট৷ বাম আমল থেকেই তাঁরা এই দাবি জানিয়ে আসছেন বলেও সংবাদমাধ্যমে দাবি তাঁর৷
সিপিএম সমর্থিত কর্মচারী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ জানিয়েছেন, আমরা ডিএর দাবিতে আন্দোলন করার জন্য রাজ্য সরকার আমাদের নামে মামলা দায়ের করেছে৷ আন্দোলন করার জন্য প্রতি হিংসা মূলক বদলি করা হয়েছে৷ তাও আমরা আন্দোলন থামিয়ে রাখিনি৷ স্যাট আমাদের দাবি ছাড়পত্র দিয়েছে৷ তাই স্যাটের এই দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই৷ তবে তৃণমূল সরকার আদালতের কোন নির্দেশ মানছে না৷ তাই এই রায় যতক্ষণ না পর্যন্ত কার্যকর হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবেই৷
কনফেডারেশনের নেতা সুবীর সাহা বলেন, আমরা যে কটা দাবি স্যাটের কাছে পেশ করেছিলাম, সেগুলি মেনে নেওয়া হয়েছে৷ কর্মীদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হল বলে মনে করছি৷’’ বিজেপি সমর্থিত কর্মচারী পরিষদের রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক দেবাশীষ জানিয়েছেন, স্যাটের রায় ঐতিহাসিক৷ কর্মী আন্দোলনের ঐতিহাসিক জয়৷
তবে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি কর্মীরা কি সত্যিই স্বস্তিতে আছেন? এই প্রশ্নের সবকটি কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের মন্তব্য, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷ অন্যদিকে কনফেডারেশানের আহ্বায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা চাই রাজ্য সরকার স্যাটের রায়ের বিরোধিতা পথে না হেঁটে হেঁটে রায় কার্যকর করুক৷’’
কেন্দ্রের হারাই দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ বকেয়া মেটানোর কর্তব্য রাজ্যের৷ সাফ ঘোষণা স্যাটের৷ নগদ বা পিএফের মাধ্যমে তা যোগ করে দিতে হবে এই ভাতা৷ ষষ্ঠ পে কমিশন অথবা এক বছরের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে বলে নির্দেশ স্যাটের৷ আগামী তিন মাসের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতার হার নির্ধারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
গত শুক্রবার দীর্ঘ মামলার সওয়াল জবাবের পর মহার্ঘ ভাতার মামলার রায় ঘোষণা করে স্যাট৷ মামলার শুনানিতে বিচারক রঞ্জিতকুমার বাগ ও বিচারক সুবেশ দাসের এজলাস সাফ জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় হারেই দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা৷ তবে, এক বছরের মধ্যেই তা কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে৷ কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মানে সর্বভারতীয় ক্রেতা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণের কথাও জানানো হয়েছে৷ ডিএ মামলার হারের পর রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রের হারাই দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ বকেয়া মেটানোর কর্তব্য রাজ্যের৷ সাফ ঘোষণা স্যাটের৷ নগদ বা পিএফের মাধ্যমে তা যোগ করে দিতে হবে এই ভাতা৷ ষষ্ঠ পে কমিশন অথবা এক বছরের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে বলে নির্দেশ স্যাটের৷ আগামী তিন মাসের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতার হার নির্ধারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷