কলকাতা: কবে মিলবে মহার্ঘ ভাতা? কবে কার্যকর হবে পে-কমিশনের সুপারিশ? রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি উঠল বিধানসভায়৷ অবিলম্বে বেতন কমিশন চালু ও মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে আজ মুলতবি প্রস্তাব আনা হয় বাম-কংগ্রেসের তরফে৷ কিন্তু মুলতবি প্রস্তাব গৃহীত না হয় বিধানসভার মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু করে দেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা৷
জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মেটানোর দাবি জানিয়ে এদিন মুলতবি প্রস্তাব আনা হয়৷ সেখানে খুব স্পষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়, ঠিক কবে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হবে৷ মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত স্যাটের রায় কবে কার্যকর করবে রাজ্য সরকার৷ এই প্রশ্ন তুলে মুলতবি প্রস্তাব আনা হলেও তা খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরই বিরোধী বিধায়করা বিক্ষোভ শুরু করেন৷ এদিন বাম কংগ্রেসের তোলা প্রস্তাবটি শুধুমাত্র পড়ার জন্য অনুমতি দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিষয়টি কমিশনের বিচারাধীন৷ বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিধানসভা আলোচনা নয়৷ বাম কংগ্রেসের মুলতবি প্রস্তাব খারিজ করে জানান অধ্যক্ষ৷ আলোচনা প্রস্তাব খারিজ হতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ ও অধিবেশ ছাড়েন বিরোধী বিধায়করা৷
যদিও এর আগে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বুধবার অধিবেশন বয়কট করেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সেখানেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়৷ আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মেটানোর দাবি জানিয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনা হলে তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয়৷ যদিও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে পে-কমিশনের কার্যকারিতা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ রয়েছে৷
২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর অর্থনীতিবীদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল৷ ধাপে ধাপে সেই কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ ৪ বছর হতে চললেও এখনও বেতন কমিশন কোনও সুপারিশ জমা করাতে পারেনি৷ এই নিয়ে কর্মী মহলের চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ যদিও এই নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছিলেন, বেতন কমিশন রিপোর্ট জমা দিলেই রাজ্য সরকার সাধ্য মতো চেষ্টা করবে৷
অন্যদিকে দীর্ঘ মামলার রায়ের পর অবশেষে রাজ্যের ট্রাইব্যুনালে মহার্ঘ ভাতার মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা৷ স্যাটের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের হারে রাজ্যকে দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ কিন্তু সেই মামলার রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মহার্ঘভাতার মামলার রায় কার্যকর করার বিষয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত পাচ্ছে না সরকারি কর্মচারীরা৷ এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷