কলকাতা: দেশজুড়ে করোনা প্রতিরোধে আগামী ২১দিন লকডাউনের আওতায় থাকবে গোটারাজ্য। তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন ২ এপ্রিল। লকডাউনের জেরে জরুরী পরিষেবা মূলক সংস্থা খোলা থাকলেও তা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি বা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অফিসে ডাকা হচ্ছে বা ওয়ার্ক ফর্ম হোম করে দেওয়া হয়েছে। বহু সরকারি অফিসও এই নিয়ম চালু হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে এই মাসের বেতন নিয়ে স্বভাবতই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও সরকারি, আধাসরকারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সময়মতো বেতন দিয়ে দেওয়ারর কথা বলা হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য দুতরফেই। জরুরী পরিষেবার আওতায় রাজ্যের ট্রেজারিগুলিকেও জরুরী ভিত্তিতে খোলা রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন রাজ্য অর্থদপ্তরের মুখ্যসচিব। তবে লকডাউন হওয়ার আগেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন হওয়ার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও সরকার ট্রেজারিগুলি খুলে রাখার নির্দেশ জারি করেছে। সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীদের মোবাইলে এপ্রিল মাসের বেতন সংক্রান্ত ট্রেজারির পাঠানো এসএমএস ঢুকছে। তাতে ২ এপ্রিল বেতন হওয়ার উল্লেখ থাকছে।
অর্থ দপ্তরের অধীনস্থ ওয়েস্টবেঙ্গল অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস এর শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন ১০ লক্ষ সরকারি কর্মী ও ৩ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের একাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট দিনেই। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ট্রেজারি থেকে সমস্ত বিল অনলাইনে পাঠানো হচ্ছে। এমনিতে ট্রেজারি থেকে সমস্ত বিল অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের আধিকারিকদের হাতেই পাঁঠা হত এবং এরপর বিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট অর্থ কর্মীদের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। তবে সংক্রমণ রুখতে পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করার এই সিদ্ধান্ত দেশে প্রথম এই রাজ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।