কলকাতা: মালদহে অমিত শাহের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারি কর্মীদের কোনও বকেয়া নেই৷ আজ কর্মীরা মাস পয়লা বেতন পান৷ ফলে, ওরা কী বলল আমরা ভাবি না৷’’ এদিন অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ডিএ নিয়ে বলার আগে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন৷ বছরে দু’কোটি চাকরি হয়েছে? সেটা আগে বলুন৷’’
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা তো আর টাকা ছাপায় না৷ ফলে, মুখে মুখে বড় কথা বলিও না৷ আজ, মা মাটি সরকারের আমলে শিক্ষকরা মাস পয়লা বেতন পান৷ ডিএ পান৷ আমাদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের কোনও এরিয়ার বকেয়া নেই৷ ডিএর ফারাক, সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে বলার আগে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন৷’’
বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখতে পারেনি বিজেপি সরকার৷ কিন্তু, সেই সরকারি দলের সভাপতির মুখেই এবার উঠে এল বাংলার কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ৷ মালদহের জনসভা মঞ্চ থেকে বাংলার কর্মসংস্থান ও সরকারি কর্মীদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেন মোদির সেনাপতি অমিত শাহ৷ সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি ও সপ্তম পে কমিশন চালু না হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি৷
শুরুতেই মমতা সরকারের উৎখাতের ডাক দিয়ে বলেন, ‘‘আজ বাংলায় বেকারত্ব বাড়ছে৷ রাজ্য সরকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ৷ বাংলায় চাকরি না থাকলেও বোম-পিস্তল তৈরির কারখানার বেড়েছে৷ শিল্প নেই, অস্ত্র তৈরি এখানে শিল্পে পরিণত হয়েছে৷ এর থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি৷’’ এদিন সরকারি কর্মীদের মোন পেতে বিজেপি সভাপতির মন্তব্য, ‘‘আজ বাংলার সরকারি কর্মচারীরা সব থেকে বঞ্চিত৷ সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য দেওয়া হয় না৷’’ বকেয়া মহার্ঘভাতা ও রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন কেন চালু করা হয়নি? তা নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন অমিত শাহ৷ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়েও সরব হন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘৪৯ শতাংশ ডিএ বাকি৷ ডিএ দিতে পারছে না, কোথায় গেল এইসব পয়সা? সেই সমস্ত পয়সা বের করতে হবে।’’ মালদহের সভায় তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা দলের সরকার বাংলায় ক্ষমতায় এলেই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করব৷’’ এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অমিত শাহের সমস্ত মন্তব্য উড়িয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷