কলকাতা: আদালত অবমাননার নোটিশ পেতেই বাড়ি বাড়ি নিয়োগপত্রের চিঠি পৌঁছল এসএসসি। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। পরীক্ষা হয় ওই বছরেই। কিন্তু অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন যে উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের দিয়েছিলেন সেখানে ভুল ছিল৷ অথচ এসএসসি তাদের ভুল স্বীকার করতে চায়নি৷ যার জেরে মামলা গড়ায় আদালতে৷ ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা৷
আরও পড়ুন- স্টেট পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডে নিয়োগ
অনিতা বিশ্বাস ও ধিরাজ সরকার সহ ৫ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তরপত্রে একটি ভুল ছিল৷ কিন্তু তারা সেটা মানতে চাইছেন না৷ এর পরেই বিভিন্ন লেখকের লেখা ইতিহাসের পাঠ্যবই আদালতের কাছে তুলে ধরেন তিনি। এর পর স্কুল সার্ভিস কমিশন পক্ষের আইনজীবী মেনে নেন যে তাদের উত্তরপত্রে ভুল রয়েছে।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখর ববি সরাফের নির্দেশ, যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে দিতে হবে এসএসসিকে৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যদি প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এই নম্বর যুক্ত হওয়ার পর কেউ চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা লাভ করে তাহলে অবশ্যই তাদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
অথচ অভিযোগ, আদালতের এই নির্দেশ চার মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশন তা কার্যকর করে উঠতে পারেনি৷ মামলাকারীদের আইনজীবী স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এবং আদালত অবমাননার নোটিশ দিতে গেলে এসএসসি কর্তৃপক্ষ ওই চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পরেই মামলাকারীদের বাড়িতে অ্যাপেন্টমেন্ট লেটার পাঠিয়ে দেয় এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আপাতত চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন ওই প্রার্থীরা৷