কলকাতা: মামলার গেরোয় কার্যত থমকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ দীর্ঘ ৪ বছর নানান জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় শেষ করে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তাতেও উঠেছে গুচ্ছ প্রশ্ন৷
নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের পাশাপাশি শূন্যপদের সংখ্যা নিয়ে ছিল চূড়ান্ত ধোঁয়াশা৷ ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হলেও তা কর্যত পাত্তা না নিয়ে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের ঘোষণা এসএসসির৷ তবে, সংরক্ষের সৌজন্যে বেশ খানিকটা কমল অনুমদিত শূন্যপদের সংখ্যা৷ তাও আবার ‘সম্ভাব্য’৷
সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ‘সম্ভাব্য’ শূন্যপদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে৷ আইনগত কারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘সম্ভাব্য’ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পার্শ্বশিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাদে ‘সম্ভাব্য’ শূন্যপদের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৮টি৷ ‘সম্ভাব্য’ মোট শূন্যপদ ১৪ হাজার ৩৩৯টি৷ এর আগে গত ১৬ আগস্ট শূন্যপদের সংখ্যা ঘোষণা করে কমিশন৷ সেখানে সাফ উল্লেখ করা হয়, ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে৷ এবার সোমবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশনের তরফে সংরক্ষণ সহ মোট অনুমদিত ‘সম্ভাব্য’ শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হঠাৎ কেন ‘সম্ভাব্য’ শব্দটি ব্যবহার করতে হল কমিশনকে? শূন্যপদের সংখ্যা নিয়ে এখনও কি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে কমিশন? নাকি আইনি জটিলতার আশঙ্কা থেকে শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তিতে ‘সম্ভাব্য’ শব্দ ব্যবহার করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা চালাল কমিশন?
সংরক্ষের জেরে মোট ‘সম্ভাব্য’ শূনপদের সংখ্যা কমতেই চাকরিপ্রার্থী মহলে চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ বেশ কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটে, কমিশন শূন্যপদ বাড়াতে পারে৷ কিন্তু, সোমবার কমিশনের বিজ্ঞপ্তি সেই সমস্ত গুজবে জল ঢেলে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তাঁদের প্রশ্ন, যদি ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিতেই হত, তাহলে কমিশন কেন গত ১৬ আগস্টের বিজ্ঞপ্তিতে তা জানাল না?
সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ আদতে মোদ শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন চারকিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কেননা, তাঁদের বারাবর দাবি ছিল, অন্তত ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ ও আপডেট ভ্যাকান্সি অনুযায়ী নিয়োগ করা হোক৷ কিন্তু, সেই দাবি উড়িয়ে ‘সম্ভাব্য’ শূনপদের মোট শূন্যপদ ঘুরপথে কমিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷