কলকাকা: লক্ষ্য ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন৷ বাংলার ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপর তৎপরতা শুরু করেছে শাসক তৃণমূল৷ সাংগঠনিকভাবে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনের ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটিয়ে ওঠা এখন পাখির চোখ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের৷ আর সেই ২০২১-এর লক্ষ্য পূরণে বাংলা ভোটের আগে এক লপ্তে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ কর্মী নিয়োগে গতি আনতে নতুন করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য৷ আর এই তোড়জোড়কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক৷
নবান্ন সূত্রে খবর, নন-পিএসসি পদে যে কর্মী নিয়োগ হবে তা সরাসরি নতুন করে দিনের আলোর মুখ দেখতে চলা স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা এসএসসির হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ কিন্তু এসএসসিকে নবজীবন দেওয়া তোড়জোড় শুরু হলেও আরও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড৷ আপাতত তা এখন অকেজো৷
২০১৫ সালে এসএসসিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার জন্য বিধানসভায় পাস হয়েছিল বিল৷ ২০১২ সালে পিএসসির হাত থেকে গ্রুপ বি, সি, ও ডি পদমর্যাদার কর্মী নিয়োগের ক্ষমতা এসএসসির হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ পরবর্তী সময়ে সেই এসএসসির কফিনে পেরেক পুঁতে দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে তৈরি করা হয়েছিল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড৷ ২০১৭ সালে একবার সেই গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড পরীক্ষা নিয়েছিল৷ তারপর থেকে কার্যত অথর্ব হয়ে পড়ে রয়েছে গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড৷ এবার নতুন করে এসএসসি ফিরিয়ে আনা সিদ্ধান্তে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন৷
অনেকেই বলছেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে পৃথক নিয়োগকারী সংস্থা হঠাৎ কেন গড়ে তোলা হল? কেনই বা তা নিষ্ক্রিয় করে রাখা হল? আবার নতুন করেই বা কেন এসএসসিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে? এবার সেই এসএসসির আয়ু কতদিন থাকবে? সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা৷