কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চার বার বৈঠকের পরও মেলেনি সমাধান৷ এবার অনশন মঞ্চে পুলিশ পাঠিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দেওয়া অভিযোগ৷ তবে, সৌভাগ্যবশত অনশন-স্থলে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলামকে দেখে খুব একটা হুঁশিয়ারি দিতে পারেনি পুলিশ৷ সেনার অভিযোগ পত্র দেখিয়ে এদিন অনশন তুলে দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে পিছু হটে পুলিশ৷
চাকরি-প্রার্থীরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে চাকরি-প্রার্থীদের ডেকে দিয়ে গিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার কথা বলে পুলিশ৷ বলা হয়, সেনার এলাকায় এভাবে অনশন করা চলবে না৷ পুলিশকে অনশন মঞ্চে গিয়ে কথা বলার জন্য আর্জি জানান চাকরিপ্রার্থীরা৷ ওই মুহূর্তে অনশনস্থলে ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলাম৷ নজরুল ইসলাম পুলিশের নথি খতিয়ে দেখে পাল্টা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী যখন সেনার জমিতে ২৬ দিন অনশন করেছিলেন, তখন পুলিশ কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল? প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পিছু হটে পুলিশ৷
এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে চাকরি-প্রার্থী রাকেশ প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছি৷ সংবিধানে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, পুলিশ কীভাবে আমাদের উঠে যেতে বলে৷ আমরা সেনাবাহিনীর জমিতে অনশন করছি৷ আমাদের অনশন নিয়ে সেনাবাহিনী সরাসরি কোনও অভিযোগ তুলেছে? যতই পুলিশ এসে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করুক, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে অনশন চালিয়ে যাব৷’’
এদিনের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ কপিল মিস্ত্রি বলেন, ‘‘পুলিশ এসে অনশন মঞ্চ তুলে নিতে জোর করছে৷ বলছে তোমরা নিজেরা না উঠলে আমরা নিজেদের মতো ব্যবস্থা নেব৷ এই পরিস্থিতি তে আমাদের সাহায্যের জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি৷’’ চাকরি-প্রার্থীদের অভিযোগ, আজ দুপুরে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক অনশন মঞ্চে হাজির হন৷ কথা বলেন চাকরি-প্রার্থীদের সঙ্গে৷ অনশন প্রত্যাহতের বার্তা দেওয়া হয়৷ অভিযোগ, ভালো কথায় কাজ না হলে শক্তি প্রয়োগ করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলে চাকরি-প্রার্থীদের অভিযোগ৷
টানা ২৩ দিনের অনশনে পুলিশি উপস্থিতি খুব একটা চোখে না পড়লেও আজ হঠাৎ কেন অনশন মঞ্চে হাজির হল পুলিশ? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের৷ এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘‘আমরা ওঁদের ওখান থেকে উঠতে বলেছি। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখি ওঁরা কী করেন। তারপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’’