কলকাতা: বাংলার স্কুলগুলিতে বাড়ছে শিক্ষকের অভাব৷ দীর্ঘ 7 বছর ধরে থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া৷ একের পর এক বেনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নিয়োগের ওপর দেওয়া হয়েছে স্থগিতাদেশ৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবার ভোটের আগে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ঘটাতে বড়সড় উদ্যোগ নিল রাজ্য৷
উচ্চ প্রাথমিকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শোচনীয় অবস্থা রাজ্যের স্কুলগুলিতে৷ দেখা দিয়েছে চরম শিক্ষক অভাব৷ আর এই অভাব মেটাতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ প্রয়োজনে প্রতিদিন শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে৷ দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে৷
নিয়োগ মামলার জটিলতা কাটাতে স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে সেই মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একের পর এক অনিয়ম, মেধা তালিকায় দুর্নীতি, একের পর এক মামলা কীভাবে সমাধান করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন? তাহলে কি অন্য কোনও কৌশল অবলম্বন করছে এসেছে কমিশন? অনিয়ম মুছে ফের কি নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে? তুঙ্গে চর্চা৷
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বদলে যাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া৷ এবার অনলাইনের মারফত নেওয়া হবে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং৷ শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং হবে অনলাইনের মাধ্যমে৷ এতদিন কমিশনের দফতরে গিয়ে স্কুল বাছাই করতে হতো চাকরিপ্রার্থীদের৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণে কথা মাথায় রেখে এবার থেকে অনলাইনে করা যাবে সেই পদ্ধতি৷ নিজেদের সুবিধামত যে কোন জায়গা থেকে প্রার্থীরা অনলাইনে স্কুল বাছাই করতে পারবেন৷ ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে অনলাইনে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে কমিশন৷