SSC-কে ১৫ দিনের সময়সীমা হাইকোর্টের, সামান্য ভুলে ‘মানবিক’ হওয়ার আবেদন

SSC-কে ১৫ দিনের সময়সীমা হাইকোর্টের, সামান্য ভুলে ‘মানবিক’ হওয়ার আবেদন

কলকাতা: লিখিত পরীক্ষা, মেডিক্যাল ফিটনেস, সবেতে পাশ করেছেন তিনি। শুধুমাত্র জন্মের দিন ফর্মে ভুল লেখার কারণে চাকরি যেতে বসেছে বছর ২৩-এর কলকাতার যুবকের৷ কোনও উপায় না দেখে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন৷ সেখানেই কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসিকে মানবিক হওয়ার আবেদন করেছে৷ এসএসসি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখেই হাইকোর্ট রায় দেবে বলে জানা গিয়েছে।

অসমের স্টাফ সিলেকশন পরীক্ষার সময় ফর্ম ফিলাপে জন্মের তারিখ দিতে হয়। সেখানে কলকাতার যুবক যে তারিখ দিয়েছিলেন তার সঙ্গে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডের তারিখ মেলেনি৷ নিজের জন্ম তারিখ ৩০ এপ্রিল ১৯৯৭-এর বদলে ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭ লিখে ফেলেন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় বসেন। তাতে সফল হওয়ার পর ফিজিক্যাল টেস্টেও উতরে যান। এরপর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পড়ে। তাতেও বাছাই তালিকায় ছিলেন কুলদীপ। সব মিটে যাওয়ার পর কাগজপত্র-সহ তাঁকে চাকরিতে যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। আর ঠিক সেখানেই গোল বাধে। নিয়োগপত্র পেয়েও হাত ছাড়া হয়ে যায় সরকারি চাকরি৷

অসম রাইফেলসের স্টাফ সিলকেশন ফোর্সের আঞ্চলিক শাখার কাছে বার বার আবেদন জানিয়ে কোনও ফল হয়নি। বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এসএসসি-র কৌঁসুলি কুমারজ্যোতি তিওয়ারি সওয়ালে বলেন, “ওই পদে চাকরির জন্য ২০১৮-র জুলাইয়ে যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল৷ তাতেই স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, ফর্ম ফিলাপের সময় জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, বাসস্থান, জেলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভুল থাকলে তা চাকরির সময় গ্রহণযোগ্য হবে না।” কুলদীপের আইনজীবী ভুল স্বীকার করে বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন করেন৷

হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভুল হয়েছে ঠিক কথা। শুধু জন্মতারিখ ভুলের জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তির এই দুঃসময়ে চাকরি হারানো দুঃখজনক ঘটনা। এসএসসিকে বিচার বিবেচনা করার আবেদন করা হয়েছে। এর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এসএসসি কি সিদ্ধান্ত নেয় তারপরেই রায় দেবে হাইকোর্ট বলে জানা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *