TET নিয়োগে ভুল করেছিল কমিশন, হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি রাজ্যের

TET নিয়োগে ভুল করেছিল কমিশন, হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি রাজ্যের

253ee0f98cc1fbfb5a3ec79a5ab366e3

কলকাতা: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজ্য জুড়ে ফের শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিক টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া। করোনা কালে বেকারত্বের যে ধাক্কা আছড়ে পড়েছিল রাজ্যের যুব সমাজের উপর, টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে। সেই আবহে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূর্বের ভুল স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার।

কলকাতা হাইকোর্টে একটি শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ তথা টেটের আবেদনকারীদের নম্বর পুনর্মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত মেধা তালিকা তৈরিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। রাজ্য সরকার যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের রায়ে জানিয়েছে, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ভুল ছিল, কমিশন তা মেনে নিয়েছে। তাদের এই ভূমিকা প্রশংসনীয়৷’’

বস্তুত, রাজ্যের টেট নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে পুণরায় দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশংসায় সামিল হন। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে, তবে তা নজরে আসলে আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

বস্তুত, মেধা তালিকা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তর পত্র পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেসময় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৭০ জন টেট পরীক্ষার্থীর নম্বর নতুন করে খতিয়ে দেখার কথা ভাবা হয়েছিল। নন্দিনী সিংহ নামে এক প্রার্থী কমিশনের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। এদিনের শুনানিতে ভুল স্বীকার করে নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল  জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কমিশনের তরফ থেকে বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি, আবার আবেদনকারীদেরও সমর্থন করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *